

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


নরসিংদীর শিবপুর উপজেলা নির্বাচন অফিসে সেবা নিতে গিয়ে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। অভিযোগ উঠেছে, নতুন ভোটার নিবন্ধন, সংশোধন বা স্থানান্তর—যে কাজই হোক না কেন, টাকা ছাড়া কোনো সেবা মিলছে না এখানে। টাকা না দিলে লাঞ্ছিত হওয়ার ঘটনাও ঘটছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, অফিসের কর্মচারীদের সঙ্গে দালাল চক্রের ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রয়েছে। দালালদের মাধ্যমে লেনদেন না করলে প্রয়োজনীয় সব কাগজপত্র থাকা সত্ত্বেও দিনের পর দিন হয়রানি পোহাতে হচ্ছে সেবাগ্রহীতাদের। সম্প্রতি স্থানীয় কিছু গণমাধ্যমে এসব অনিয়ম প্রকাশ হলেও কার্যক্রম বন্ধ হয়নি। জাতীয় পরিচয়পত্র সংক্রান্ত কাজ বিলম্বিত হওয়ায় অনেকেই পাসপোর্ট ও চাকরির মতো জরুরি কাজে সমস্যায় পড়ছেন।
ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, অফিসের সাঁট মুদ্রাক্ষরিক কাম কম্পিউটার অপারেটর মো. ইসমাঈল হোসেন এ ধরনের অনিয়মে জড়িত। তিনি প্রথমে কাজ বাইরের কম্পিউটার দোকানে পাঠান, পরে লেনদেন সম্পন্ন হলে দ্রুত সমাধান করা হয়। এর বিনিময়ে কয়েক হাজার টাকা গুনতে হয়। টাকা দেওয়ার পরও ভুক্তভোগীদের দুর্ব্যবহার সহ্য করতে হয়।
জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধনের জন্য আসা অহিদ মিয়া বলেন, “প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দিয়েও টাকা না দিলে কাজ হয় না। এখানে বড় দালাল চক্র গড়ে উঠেছে।”
যোশর ইউনিয়নের ইদ্রিস আলী জানান, আইডি কার্ড করতে গিয়ে তার কাছে ১,৫০০ টাকা চাওয়া হয়েছে। টাকা না দেওয়ায় কাজ স্থগিত আছে। আরেক ভুক্তভোগী জুয়েল মিয়া জানান, তার ভাইয়ের নতুন কার্ডের জন্য ২,৫০০ টাকা দাবি করা হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরও কয়েকজন অভিযোগ করেন, অফিসের সব স্টাফ মিলে সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে রেখেছে।
তবে অভিযুক্ত ইসমাঈল হোসেন অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “এগুলো আমার কাজ নয়, অফিসের অন্যরা করে।”
শিবপুর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ফারিজা নূর জানান, “আমি সম্প্রতি যোগদান করেছি। এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে কিছু শুনিনি। তবে অভিযোগ পাওয়া গেছে, সেগুলো খতিয়ে দেখা হবে।”
মন্তব্য করুন
