

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


সমুদ্রপথে ইতালিতে যাওয়ার চেষ্টাকালে লিবিয়ার উপকূলে মাফিয়াদের গুলিতে তিন বাংলাদেশি জীবন হারিয়েছেন। পরিবারের সদস্যরা মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) বিষয়টি জানতে পারেন।
নিহতরা হলেন, মাদারীপুর সদর উপজেলার আদিত্যপুরের ইমরান খান, রাজৈরের দুর্গাবদ্দীর মুন্না তালুকদার, ঘোষলাকান্দির বায়েজিত শেখ।
স্বজনদের দাবি, ৮ অক্টোবর ইমরান বাড়ি থেকে বের হন ইতালি যাওয়ার আশায়।
স্থানীয় দালাল ও মানবপাচারচক্রের সদস্য শিপন খানের সঙ্গে ২২ লাখ টাকায় চুক্তিও হয়েছিল।
সরাসরি ইতালি পৌঁছে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি থাকলেও লিবিয়ায় তাকে আটকে রেখে আরও ১৮ লাখ টাকা আদায় করা হয়।
পরে ১ নভেম্বর নৌকায় করে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দেওয়ার সময় মাফিয়াদের গুলিতে তিনি নিহত হন।
একই নৌকায় থাকা মুন্না তালুকদার ও বায়েজিত শেখও একই হামলায় প্রাণ হারান।
পরে তাদের মরদেহ সাগরে ফেলে দেওয়া হয় বলে জানা যায়। ঘটনাটি প্রকাশ পেলে দালাল চক্রের সদস্যরা বাড়িতে তালা দিয়ে পালিয়ে যায়।
তবে শিপনের এক আত্মীয় দাবি করেন, ঘটনার সঙ্গে শিপনের কোনো সম্পৃক্ততা নেই এবং তিনি কাউকে জোর করে বিদেশে নেননি।
স্থানীয়রা জানান, শিপন দীর্ঘদিন ধরে লিবিয়ায় থেকে এলাকার তরুণদের ইতালিতে পৌঁছে দেওয়ার লোভ দেখাতেন। অতীতে এমন মৃত্যুর ঘটনার অভিযোগ উঠলেও তিনি ধরা-ছোঁয়ার বাইরে থেকে যান।
ইমরানের বাবা তৈয়ব আলী খান বলেন, “মাফিয়ারা আমার ছেলেসহ আরও দুইজনকে গুলি করেছে। আমি ন্যায়বিচার চাই।”
মুন্নার বাবা ইমারাত তালুকদার জানান, “ধার–দেনা করে ছেলেকে পাঠিয়েছিলাম। দালাল বলেছিল কোনো সমস্যা হবে না। কিন্তু মাফিয়াদের গুলিতে আমার ছেলে মারা গেল।”
মাদারীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর আলম বলেন, “লিবিয়ায় তিনজন বাংলাদেশির মৃত্যুর খবর পেয়েছি। এটি অত্যন্ত দুঃখজনক। পরিবার লিখিত অভিযোগ দিলে তদন্ত ও আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
মন্তব্য করুন