

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


মাদারীপুরে হাসপাতালের টয়লেটের ভেতর থেকে উদ্ধার হওয়া নবজাতক খুঁজে পেল নতুন ঠিকানা। ঠাঁই হয়েছে সিঙ্গাপুর প্রবাসীর ঘরে।
দেশসেরা অনলাইন ও মাল্টিমিডিয়া এনপিবি নিউজসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর ৩৫টি আবেদন যাচাই–বাছাই শেষে সাড়ে তিন লাখ টাকা বন্ডে নিঃসন্তান দম্পতির হাতে তুলে নেওয়া হয় শিশুকে। খুশি দত্তক নেওয়া বাবা–মাও। আদালতের সিদ্ধান্তে দুই মাস পরপর শিশুটির শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নিয়ে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার কথা জানিয়েছে সমাজসেবা অধিদফতর।
জানা যায়, গত ০২ ডিসেম্বর বিকেলে সাড়ে ৩টার দিকে শহরের লেকের দক্ষিণপাড়ের বাবু চৌধুরী জেনারেল হাসপাতালের পরিচ্ছন্নতা কর্মী সাথী বেগম বাথরুমের ভেতর রক্তাক্ত অবস্থায় এক নবজাতককে দেখতে পান। পরে শিশুটিকে উদ্ধার করে ভর্তি করা হয় ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতালে। থানায় সাধারণ ডায়েরি করে সমাজসেবা অধিদফতর। এরই পরিপ্রেক্ষিতে শিশুটিকে দত্তক নিতে ভিড় করেন অনেকে। নবজাতককে দত্তক নিতে মাদারীপুর শিশু আদালতে জমা পড়ে একে একে ৩৫টি আবেদন। সোমবার দিনব্যাপী চলে শুনানি।
পরে যাচাই–বাছাই শেষে সিঙ্গাপুর প্রবাসী নাদিম আকন ও সাদিয়া আক্তার দম্পতিকে দত্তক নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন আদালতের বিচারক রিফাত মোল্লা। সাড়ে তিন লাখ টাকা বন্ডসহ ৫টি শর্তে দেওয়া হয় তাদের।
মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) বিকেলে নতুন মা–বাবার হাতে তুলে দেওয়া হয় শিশুটিকে। শহরের পাঠকাকান্দি এলাকায় বসবাস সাদিয়া আক্তার ও নাদিম আকন দম্পতির। নবজাতককে দত্তক নিতে পেরে খুশিতে আত্মহারা তারা।
শিশুকে দত্তক নেওয়া সিঙ্গাপুর প্রবাসী নাদিম আকন বলেন, ‘আমি শিশুটিকে দত্তক নেওয়ার জন্য সিঙ্গাপুর থেকে ছুটে এসেছি। আমি মেয়েটিকে মানুষের মতো মানুষ হিসেবে গড়ে তুলব।’
সাদিয়া আক্তার বলেন, ‘এই শিশুটি এখন থেকে আমাদের সন্তান। মায়ের আদর দিয়ে ওকে মানুষ করব। কোনো কষ্ট–দুঃখ হতে দেব না। সুখে–শান্তিতে আমাদের পরিবারে থাকবে সে।’
মাদারীপুর সমাজসেবা অধিদফতরের প্রবেশন অফিসার শেখ নাহিয়ান ওয়াহিদ জানান, ‘আদালত যোগ্য মনে করে এই দম্পতির কাছে শিশুটিকে দত্তক দিয়েছেন। শিশুটির খোঁজখবর নিয়ে দুই মাস পরপর আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে বলেছেন। সমাজসেবা অধিদফতর এ বিষয়ে নিয়মিত তদারকি করবে।’
মন্তব্য করুন
