

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার তুষভান্ডার ইউনিয়নের কাশীরাম মুনসীর বাজারসংলগ্ন তিস্তার তীরে এখন ঠাঁই শফিকুল মিয়ার। একসময় ছিলেন স্বচ্ছল কৃষক—গরু-ছাগলে ভরা গোয়াল, গোলাভরা ধান আর ফসলি জমির প্রাচুর্যে অভাবের ছায়া ছিল না তার ঘরে।
নিজেদের জমির ধান, শাকসবজি আর গরুর দুধে চলত পরিবার। তিস্তার মাছ ছিল প্রতিদিনের খাবারের অংশ। কিন্তু ভয়ঙ্কর নদীভাঙনে তিস্তা কেড়ে নিয়েছে তার ঘরবাড়ি, জমি আর জীবিকা। সবকিছু হারিয়ে তিনি এখন নদীর ধারে আশ্রয়হীন জীবনযাপন করছেন।
অভাবের চাপে পুরনো কৃষিজীবন ছেড়ে তিনি এখন বেছে নিয়েছেন ভিন্ন পথ। স্ত্রীকে নিয়ে কখনও দিনমজুরের কাজ করেন, আবার জীবিকার বড় অংশ আসে চর থেকে কেটে আনা ঘাস বিক্রি করে। নৌকায় ঘাস এনে কালীগঞ্জ বাজারে কৃষক, খামারি ও গৃহস্থদের কাছে বিক্রি করেন তিনি।
কালীগঞ্জ রেলস্টেশন এলাকায় প্রতিদিন দুপুরে বসে ঘাসের বাজার। প্রতিটি আঁটি ১০ টাকায় বিক্রি করে শফিকুল দিনে আয় করেন ৪০০–৫০০ টাকা। সেই সামান্য টাকাতেই চলে চাল, ডাল, তেল, লবণসহ সংসারের নিত্যপ্রয়োজনীয় কেনাকাটা।
সব হারিয়ে এখন নিঃস্ব হলেও ঘাম ঝরানো পরিশ্রমে টিকে আছেন শফিকুল মিয়া। নদীভাঙনে জীবনের লড়াই তার প্রতিদিনের সঙ্গী। স্থানীয় প্রশাসন ও সমাজের বিত্তবানদের সহায়তা পেলে হয়তো আবারও ঘুরে দাঁড়ানোর স্বপ্ন দেখতে পারবে তার পরিবার।
 সর্বশেষ খবর পেতে  Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
    
    
    সর্বশেষ খবর পেতে  Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
    
মন্তব্য করুন
 
 
                    