

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


কিশোরগঞ্জের ভৈরবকে জেলা ঘোষণার দাবিতে মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত এক ঘণ্টা নৌপথ অবরোধ কর্মসূচি পালন করেছেন স্থানীয় আন্দোলনকারীরা।
এতে ভৈরব বাজার ঘাট এলাকায় মেঘনা নদীতে লঞ্চ ও কার্গোসহ সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ থাকে। কর্মসূচি শেষে বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) একযোগে সড়ক, রেল ও নৌপথ অবরোধের ঘোষণা দেওয়া হয়।
অবরোধ চলাকালে বিক্ষোভকারীরা ভৈরব বাজার লঞ্চঘাট ও কার্গোঘাটে অবস্থান নিয়ে স্লোগান দেন ও ব্যানার-পোস্টার প্রদর্শন করেন।
আন্দোলনকারীরা জানান, সোমবারের শান্তিপূর্ণ রেল অবরোধের শেষ মুহূর্তে ট্রেনচালকের হুইসেল বাজানোয় ভিড়ের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে, ফলে কেউ কেউ আত্মরক্ষার্থে পাথর ছোড়ে। তবে এ ঘটনার দায় স্টেশন মাস্টার ও রেলওয়ে থানার ওসির বলে দাবি করেন তারা।
তাদের ভাষায়, ভৈরবকে জেলা করার আন্দোলন আগে যেমন ছিল, ভবিষ্যতেও থাকবে। মামলা বা ভয়-ভীতি দেখিয়ে এই দাবি দমন করা যাবে না।
এর আগে আন্দোলনকারীরা সড়ক ও রেলপথ অবরোধ কর্মসূচি পালন করেছিলেন। মঙ্গলবারের নৌপথ অবরোধ শেষে তারা জানান, দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে এবং বৃহস্পতিবার একযোগে তিনপথে অবরোধের কর্মসূচি পালন করা হবে।
ভৈরব পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক খায়রুল ইসলাম পাভেল বলেন, ভৈরবকে জেলা ঘোষণার বিষয়টি এখানকার মানুষের বহু বছরের দাবি। আন্দোলনের মাধ্যমে একসময় ৬৫তম জেলার প্রজ্ঞাপন জারি হয়েছিল, কিন্তু তা বাস্তবায়িত হয়নি। আমরা এখনো শান্তিপূর্ণ উপায়ে দাবিটি বাস্তবায়নের জন্য মাঠে আছি।
বাঁশগাড়ি জিল্লুর রহমান স্কুল অ্যান্ড কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র রায়হান বলেন, আমাদের বিক্ষোভ ও ব্লকেড কর্মসূচি সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ ছিল। আমরা প্রশাসনের নির্দেশে ব্যারিকেড তুলে নিয়েছিলাম। দাবি বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত আমরা শান্তিপূর্ণ আন্দোলন চালিয়ে যাব।
অবরোধ চলাকালে জেলা আন্দোলনের নেতা মাওলানা সাইফুল ইসলাম শাহারিয়া, গণঅধিকার পরিষদের ইমতিয়াজ আহমেদ কাজল ও ছাত্রনেতা জুনাইদসহ আরও কয়েকজন নেতা বক্তব্য দেন।
এ সময় ভৈরব উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এএইচএম মো. আজিমুল হক, নৌথানার ওসি মো. রাশেদুজ্জামানসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত থেকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখেন।
ওসি মো. রাশেদুজ্জামান জানান, ভৈরবকে জেলা ঘোষণার দাবিতে নৌপথ অবরোধ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে। আমরা সবাইকে শান্তিপূর্ণভাবে দাবি জানানোর পরামর্শ দিয়েছি।
উল্লেখ্য, ২০০৯ সালে একবার ভৈরবকে জেলা ঘোষণার সিদ্ধান্ত নেওয়া হলেও তা পরবর্তীতে বাস্তবায়িত হয়নি।
 সর্বশেষ খবর পেতে  Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
    
    
    সর্বশেষ খবর পেতে  Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
    
মন্তব্য করুন
 
 
                    