সোমবার
০১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সোমবার
০১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সরকারি সেচ প্রকল্প দখলে নিলেন বিএনপি নেতা, বিপদে ফসল আবাদ

রুবেল হোসাইন, কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২৯ নভেম্বর ২০২৫, ০১:০৩ পিএম
সেচ প্রকল্প জোরপূর্বক দখল
expand
সেচ প্রকল্প জোরপূর্বক দখল

কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রামে সরকারি অনুমোদনপ্রাপ্ত উজান কান্দা সেচ প্রকল্প জোরপূর্বক দখলে নিয়েছেন স্থানীয় এক বিএনপি নেতা।

এ ঘটনায় স্কিম ম্যানেজার আনোয়ার মিয়া অষ্টগ্রাম থানায়, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এবং সেচ প্রকল্প কমিটির সভাপতির কাছে লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত দুই বছর ধরে সরকারি অনুমোদন ও কৃষকদের সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে আনোয়ার মিয়া পূর্ব অষ্টগ্রাম ইউনিয়নের উজান কান্দা সেচ প্রকল্পের স্কিম ম্যানেজারের দায়িত্বে রয়েছেন।

চলতি মৌসুমেও উপজেলা সেচ কমিটির বাছাইয়ে তিনি পুনরায় দায়িত্ব পান এবং শ্রমিক নিয়োগ করে ড্রেন নির্মাণ সংস্কার শুরু করেন। এতে ব্যয় হয় প্রায় ৯০ হাজার টাকা।

কিন্তু পূর্ব অষ্টগ্রাম (কবিরখান্দান) এলাকার ১ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি খালেক মিয়া (৬৫) নেতৃত্বে বাচ্চু মিয়া, বাঁশি মিয়া, এলিম মিয়া, জিয়াউল হকসহ ১০-১৫ জন শ্রমিকদের কাজ বন্ধ করে দেন।

তারা দা, লাঠি, রড ও বল্লমসহ দেশীয় অস্ত্র প্রদর্শন করে স্কিমটি দখলে নেন। পরে তারা বিএডিসির সেচ অফিসে গিয়ে স্কিমটি তাদের নামে লিখে দেওয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করেন।

স্কিম ম্যানেজার আনোয়ার মিয়া বলেন, বিএনপির লোকজন এসে বলে আমাদের নেতা ফজলুর রহমান নির্দেশ দিয়েছেন, এই এলাকায় বিএনপি ছাড়া কেউ কিছু পাবে না। উপজেলা বিএনপি সভাপতি সৈয়দ সাঈদ আহমেদও তাদের সহায়তা করছেন। ৭৪টি সেচ স্কিমের বেশির ভাগই বিএনপি নেতারা নিয়েছেন।

তিনি আরও বলেন, সরকারি অনুমোদন থাকা সত্ত্বেও কাজ শুরু করতে পারছি না। থানায় গেলে ইউএনও অফিসে পাঠায়, ইউএনও অফিসে গেলে বিএডিসি অফিসে যেতে বলে। এই অবস্থায় কৃষকেরা মারাত্মক সমস্যায় পড়েছে। সেচ চালু না হলে বোরো আবাদে বড় ধরনের সংকট দেখা দেবে।

বিএনপি নেতা খালেক মিয়া বলেন, গত বছর স্কিমটি আমরা দুজন মিলে পরিচালনা করেছি। এ বছরও যৌথভাবে করতে চাই। কিন্তু আনোয়ার মিয়া এককভাবে করতে চাইছে, তাই আমরা বলেছি আমাদের ছাড়া স্কিম চালাতে দেওয়া হবে না। বিষয়টি উপজেলা বিএনপি সভাপতি জানেন।

উপজেলা বিএনপি সভাপতি সৈয়দ সাঈদ আহমেদ বলেন, গত বছর দুজন মিলেই স্কিম চালিয়েছে। তাই সহকারী প্রকৌশলী বলেছেন-এ বছরও যেন তারা মিলেমিশে করে। আমি শুধু সেটাই বলেছি, এর বাইরে কিছু জানি না।

বিএডিসির উপসহকারী প্রকৌশলী মো. আছাদুল হক বলেন, ঘটনার বিষয়টি প্রথম আপনার কাছেই শুনছি। ইউএনও মহোদয়ের সঙ্গে কথা বলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

অষ্টগ্রাম থানার ওসি রুহুল আমীন বলেন, লিখিত অভিযোগের বিষয়ে এখনো কোনো তথ্য পাইনি।

google news সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন