

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক সংসদ সদস্য মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, মানুষের জীবন ও সমাজব্যবস্থায় স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য ইসলামী নীতিমালা অপরিহার্য।
তাঁর দাবিরাষ্ট্রে ইসলামি আইন প্রয়োগ হলে সব ধর্ম ও জাতিগোষ্ঠীর মানুষ নিরাপত্তা, ন্যায়বিচার ও সমান অধিকার ভোগ করতে পারে। তিনি মনে করেন, এতে চাঁদাবাজি, সন্ত্রাস, টেন্ডারবাজিসহ দখলদারিত্বের মতো অপরাধ হ্রাস পাবে।
বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) বিকেলে খুলনা-৫ আসনের আটরা-গিলাতলা ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডে মহিলা ভোটারদের এক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন ওয়ার্ড সভাপতি মো. শফিকুল ইসলাম। জেলা জামায়াতের নেতৃবৃন্দও সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
গোলাম পরওয়ার বলেন, আগামী নির্বাচনে ইসলামপন্থী ও সৎ চরিত্রের প্রার্থীদের বিজয়ী করা গেলে রাষ্ট্রে ন্যায়ভিত্তিক শাসন প্রতিষ্ঠা সহজ হবে।
তাঁর মতে, শুধু পুরুষ নন; নারীরাও ইসলাম প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন যেমন হযরত সুমাইয়া (আ.) শহীদের মর্যাদা অর্জন করেন এবং আম্মাজান আয়েশা (রা.) যুদ্ধক্ষেত্রেও অংশগ্রহণ করেছেন। তাই নারীদের দ্বারাই মহিলা অঙ্গনে দাঁড়িপাল্লা প্রতীকের প্রচার-প্রসার বাড়াতে হবে বলে তিনি আহ্বান জানান।
বিরোধীদের ‘জান্নাতের টিকিট বিক্রি’অভিযোগের জবাবে তিনি বলেন, জামায়াত কখনোই মানুষের কাছে জান্নাত বিক্রি করে না এটা সরাসরি মিথ্যাচার।
তিনি আরো বলেন, আল্লাহ কুরআনের মাধ্যমে সঠিক-ভুলের নির্দেশনা দিয়েছেন, আর জামায়াত শুধু সে কথাই মানুষের কাছে পেশ করে। কুরআন না বোঝার কারণেই বিরোধীরা এ ধরনের অভিযোগ ছড়ায় বলে তিনি মনে করেন।
তিনি আরো অভিযোগ করেন, সাম্প্রতিক সময়ে তালিম ও ধর্মীয় মাহফিলে বিএনপি নেতাকর্মীদের বাধা দেওয়ার আচরণ আওয়ামী লীগের অতীত কৌশলেরই পুনরাবৃত্তি। তাঁর দাবি—এভাবে বাধা দিয়ে বিএনপি মূলত ইসলামি চেতনার বিকাশকেই বাধাগ্রস্ত করছে এবং এতে তারা জনগণ থেকে দূরে সরে যাচ্ছে।
দিনের শুরুতে শিরোমণির ডাকাতিয়া গ্রামে গণসংযোগ শেষে রাতে তিনি সাজিয়াড়া শামসুল উলুম মাদ্রাসার বার্ষিক মাহফিলেও বক্তব্য রাখেন। সেখানে আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে দাঁড়িপাল্লা প্রতীকে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি। যে এলাকায় জামায়াতের প্রার্থী নেই, সেখানে ইসলামী জোটের প্রার্থীকে সমর্থন করার কথাও বলেন।
তিনি উল্লেখ করেন, একটি রাজনৈতিক দল ইসলামী শরীয়াহ আইন প্রতিষ্ঠার বিরোধিতা করছে—যদিও দলের নাম তিনি সরাসরি বলেননি। তাঁর বক্তব্য, কুরআনের পূর্ণাঙ্গ শিক্ষা না বুঝে তারা ‘মদিনার ইসলাম’ কথাটি ভুলভাবে ব্যবহার করছে।
বিএনপি সমর্থকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ইসলামী মতাদর্শ শক্তিশালী হওয়ায় অনেকেই ভীত হয়ে ভুল তথ্য ছড়াচ্ছে। মানুষের কাছে সঠিক বার্তা পৌঁছানোর দায়িত্ব সকলের যেমন তিনি দাবি করেন, প্রত্যেকে নিজের পরিচিত মহলে দাঁড়িপাল্লা প্রতীকের পক্ষে মত গঠন করতে পারেন।
শেষে তিনি জানান, ইসলামী জোটের মূল লক্ষ্য কুরআনের নীতি অনুযায়ী রাষ্ট্র পরিচালনা করা এবং এজন্য জনগণের সমর্থনই সবচেয়ে বড় শক্তি।
মন্তব্য করুন
