

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


১২ দিনের নবজাতক কন্যাসন্তানকে কোলে নিয়েই জেল খাটতে হয়েছিল শাহজাদী বেগমকে। মানবপাচার মামলায় গ্রেফতার হওয়া এই তরুণী মা এবং তার মা নার্গিস বেগমকে অবশেষে জামিন দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) খুলনা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. শরীফ হোসেন হায়দার এই আদেশ দেন। জামিনের পর শাহজাদী ও তার শিশু হাসপাতাল থেকে মুক্তি পান বলে নিশ্চিত করেছেন খুলনা কারাগারের জেল সুপার নাসির উদ্দিন প্রধান।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বাগেরহাটের রামপালের বাসিন্দা সিরাজুল ইসলামের সঙ্গে শাহজাদীর সংসারে আগেই চার কন্যা সন্তান ছিল। আবারও অন্তঃসত্ত্বা হলে ছেলে সন্তান না পেলে বিচ্ছেদের হুমকি দেন স্বামী। গত ১১ সেপ্টেম্বর শাহজাদী পঞ্চম সন্তানের জন্ম দেন, কিন্তু সে-ও কন্যা। খবর পেয়ে স্বামী হাসপাতাল থেকে চলে যান এবং আর কোনো খোঁজ নেননি।
এ অবস্থায় মানসিক চাপে থাকা শাহজাদীর মা নার্গিস বেগম ১৫ সেপ্টেম্বর একই হাসপাতালে জন্ম নেওয়া অন্য এক মায়ের নবজাতক ছেলে সন্তানকে কোলে নেন এবং নিয়ে চলে যান। সিসিটিভি ফুটেজ ও পুলিশের তৎপরতায় শিশুটি দ্রুত উদ্ধার হয় এবং নার্গিস বেগমকে আটক করা হয়। পরে নবজাতকের বাবা মির্জা সুজন মানবপাচার আইনে শাহজাদী ও তার মায়ের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
২১ সেপ্টেম্বর আদালতের নির্দেশে মা ও মেয়ে দুজনকেই কারাগারে পাঠানো হয়, ফলে শাহজাদী তার মাত্র ১২ দিনের শিশু কন্যাসহ জেলে যেতে বাধ্য হন।
শাহজাদীর আইনজীবী শেখ রফিকুজ্জামান জানান, জামিনের কাগজ পৌঁছানোর পর দ্রুত মুক্তির ব্যবস্থা করা হয়। তবে মানবপাচার মামলা আপসযোগ্য নয়, তাই মামলার চূড়ান্ত নিষ্পত্তি নিয়ে আদালতের পরবর্তী নির্দেশের অপেক্ষা করতে হবে। শিশুর স্বাস্থ্যগত কারণে মামলার পরবর্তী শুনানির তারিখ আগামী ২০ অক্টোবর ধার্য করা হয়েছে।
জেল সুপার নাসির উদ্দিন প্রধান জানান, জামিনের কাগজ পাওয়ার পর শাহজাদী ও তার কন্যাকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে এবং অসুস্থ নার্গিস বেগমকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
মামলার বাদী মির্জা সুজন বলেন, তার ছেলে ফারহান ও শাহজাদীর মেয়ে একই দিনে জন্মেছিল। ফারহানকে বুকের দুধ না দেওয়ার কারণে শাহজাদী তাকে দুধ খাওয়াতেন। সেই দিনই শিশুটি হঠাৎ নিখোঁজ হয়। পরে জানা যায়,পারিবারিক চাপ সামলাতে না পেরে শাহজাদীর মা নার্গিস বেগম শিশুটিকে তাদের বাড়িতে নিয়ে গিয়েছিলেন।
 সর্বশেষ খবর পেতে  Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
    
    
    সর্বশেষ খবর পেতে  Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
    
মন্তব্য করুন
 
 
                    