

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলা বিএনপির বহিষ্কৃত দপ্তর সম্পাদক আবুল বশার হাওলাদার বাচ্চু বলেছেন, সম্প্রতি কোটালীপাড়ার সাংবাদিকদের মারধরের ঘটনায় তাকে দল থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
রবিবার (৫ অক্টোবর) বিকেলে তিনি স্থানীয় গণমাধ্যমকে এ মন্তব্য করেন।
আবুল বশার হাওলাদার বাচ্চু বলেন, আমি উপজেলা বিএনপির দপ্তর সম্পাদক ছিলাম। কয়েকদিন আগে সাংবাদিক হাসান-মিজানকে মারার অভিযোগে আমাকে দল থেকে বরখাস্ত করা হলো। আমি নিজের মতো করে ভালো-মন্দ বুঝে বিএনপি করি। আওয়ামী লীগের আমলে আমি ৪৩টি মামলা মোকাবেলা করেছি।
হাসান-মিজানকে মারতে পারলে মানিক লাল ভট্টাচার্য ওরফে কালু ঠাকুরকে মারতে কি আমার সময় লাগবে?
তিনি আরও জানান, যে দোকানঘর নিয়ে বিতর্ক রয়েছে, সেটি তার ক্রয়কৃত সম্পত্তি।
দোকানের মালিক মানিক লাল ভট্টাচার্য (কালু ঠাকুর) বলেন,
“আমি ৫২ নং কয়খা মৌজার ৫৪৭ নং বিআরএস খতিয়ানে ঘাঘর বাজারের কাঠ পট্টিতে দলীলমূলে ক্রয়কৃত জায়গায় ২৭ বছর ধরে ব্যবসা করছি। গত বছরের ৫ আগস্টের পর আবুল বশার হাওলাদার বাচ্চু আমার একটি দোকানঘর দখল করেন। দোকানের কাছে গেলে তিনি আমাকে মারধর ও জীবনহানির হুমকি দেন। থানায় অভিযোগ দিলেও এখনও কোনো প্রতিকার পাইনি।”
কালু ঠাকুরের পাশের দোকানের কর্মচারী ওবায়দুল মোল্লা জানান, “দোকানটি আমরা সবসময় কালু ঠাকুরের বলে জানতাম। এখন বিএনপি নেতা বাচ্চু সেটি নিজের বলে দাবি করছেন।”
কোটালীপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খন্দকার হাফিজুর রহমান বলেন,
“খোঁজখবর নিয়ে দেখা গেছে, আমার থানায় যোগদান করার আগে কালু ঠাকুর অভিযোগ করেছিলেন। নতুন করে অভিযোগ দিলে আমরা তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেব।”
গত ২৬ আগস্ট একটি সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পর আবুল বশার হাওলাদার বাচ্চু লোকজন নিয়ে দৈনিক যুগান্তর পত্রিকার উপজেলা প্রতিনিধি এইচ এম মেহেদী হাসানাত এবং দৈনিক কালের কণ্ঠের প্রতিনিধি মিজানুর রহমান বুলু-কে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন।
 সর্বশেষ খবর পেতে  Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
    
    
    সর্বশেষ খবর পেতে  Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
    
মন্তব্য করুন
 
 
                    