

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


কালিয়াকৈর উপজেলার রাখালিয়াচালা গ্রামে আবাসিক এলাকার পরিবেশ বিপন্ন করে তোলার অভিযোগ উঠেছে একটি অবৈধ তুলা প্রক্রিয়াজাতকরণ কারখানার বিরুদ্ধে। ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় বসতঘর থেকে মাত্র ৬ ফুট দূরে স্থাপিত এই কারখানার বিকট শব্দ, কম্পন এবং ধুলোবালিতে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন স্থানীয়রা।
সরেজমিনে দেখা যায়, আবাসিক এলাকার ভেতরেই টিনের শেড তৈরি করে বসানো হয়েছে তুলা ভাঙ্গানোর ভারী মেশিন। মেশিনটি চালু করলেই তীব্র শব্দ ও কম্পনে কেঁপে ওঠে আশেপাশের বসতবাড়ি। স্থানীয় ভুক্তভোগীরা জানান, মেশিনের কম্পনে ইতিমধ্যেই একাধিক পাকা ও আধাপাকা বসতঘরের দেয়ালে বড় ধরনের ফাটল দেখা দিয়েছে।
এতে যেকোনো সময় বড় দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন তারা। শব্দদূষণের পাশাপাশি কারখানাটি থেকে নির্গত ধুলো ও বর্জ্য তুলা বাতাসে ছড়িয়ে পড়ছে। এতে এলাকার বাতাস দূষিত হয়ে পড়ছে। স্থানীয় বাসিন্দারা, বিশেষ করে শিশু ও বৃদ্ধরা শ্বাসকষ্টসহ নানা জটিল রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। এলাকাবাসীর অভিযোগ, ঘরের দরজা-জানালা বন্ধ রেখেও ধুলোবালি থেকে রেহাই পাওয়া যাচ্ছে না। খাবারের সঙ্গে তুলো মিশে যাওয়া এবং চোখে-মুখে বালি ঢোকার কারণে স্বাভাবিক জীবনযাপন অসম্ভব হয়ে পড়েছে। পরিবেশের এই বিপর্যয়ের কারণে অনেক ভাড়াটিয়া বাসা ছেড়ে অন্যত্র চলে যাচ্ছেন, ফলে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন বাড়ির মালিকরা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ভুক্তভোগী বলেন, মেশিনের শব্দে রাতে ঘুমানো যায় না, ছেলে-মেয়েরা পড়াশোনা করতে পারে না। মালিককে বারবার অনুরোধ করার পরও তিনি কারখানা বন্ধ করছেন না।
এ বিষয়ে কারখানা কর্তৃপক্ষের দাবি, তারা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী এবং কারখানাটি সরিয়ে নেওয়ার জন্য বা বন্ধ করার জন্য সময় প্রয়োজন
এ প্রসঙ্গে কালিয়াকৈর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এ.এইচ.এম ফখরুল হোসাইন জানান, ভুক্তভোগীদের পক্ষ থেকে একটি লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিষয়টি তদন্তের জন্য সহকারী কমিশনারকে (ভূমি) দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর বিধি মোতাবেক প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মন্তব্য করুন
