

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


ফেনীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে ‘সিজার’ অপারেশনের সময় রোগীর পেটে গজ রেখে সেলাই করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। দীর্ঘ সাত মাস পর অন্য এক হাসপাতালে পুনরায় অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে ওই গজ বের করা হয়।
ভুক্তভোগী ফরিদা ইয়াসমিন (৪০), ছাগলনাইয়া উপজেলার শুভপুর গ্রামের প্রবাসী মহিউদ্দিন উদ্দিনের স্ত্রী। গত ৩ ফেব্রুয়ারি ফেনী শহরের আল-কেমী হাসপাতালে তার সিজারিয়ান অপারেশন করেন চিকিৎসক তাসলিমা আক্তার। অভিযোগ রয়েছে, অপারেশনের সময় পেটে গজ ফেলে সেটিই সেলাই করে দেওয়া হয়।
অপারেশনের কিছুদিন পর থেকেই রোগী পেটের ব্যথায় ভুগছিলেন। চিকিৎসকের কাছে গেলে তাকে কেবল ব্যথার ওষুধ দিয়ে বাড়ি পাঠানো হয়। সাত মাস ধরে একাধিক চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়ার পর এক্স-রে ও অন্যান্য পরীক্ষায় পেটে বস্তুসদৃশ কিছু ধরা পড়ে।
অবশেষে গত বুধবার রাতে ফেনীর আল বারাকা হাসপাতালে সার্জন ডা. আজিজ উল্লাহ অস্ত্রোপচার করে প্রায় এক কেজি ওজনের এক ফুট লম্বা গজ বের করেন।
রোগীর স্বামী মহিউদ্দিন জানান, গত কয়েক মাসে স্ত্রীর চিকিৎসায় প্রায় পাঁচ লাখ টাকা ব্যয় হয়েছে এবং এতে তিনি ঋণে জর্জরিত হয়ে পড়েছেন। তিনি সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকের শাস্তি দাবি করেছেন।
ঘটনার পর রোগীর ভাই মো. শাহ ফয়সাল ফেনীর সিভিল সার্জন ও ফেনী মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছেন। তবে অভিযুক্ত চিকিৎসক তাসলিমা আক্তারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
ফেনীর সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ রুবাইয়াত বিন করিম জানিয়েছেন, অভিযোগ পাওয়া গেলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
 সর্বশেষ খবর পেতে  Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
    
    
    সর্বশেষ খবর পেতে  Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
    
মন্তব্য করুন
 
 
                    