

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


ফরিদপুরের বোয়ালমারীর পরমেশ্বরদী গ্রাম ও তেলজুড়ী বাজারে গোসল-সংক্রান্ত তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ভয়াবহ সংঘর্ষ, হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে।
সোমবার সকাল ৬টার দিকে কয়েকশ’ লোক অংশ নেওয়া এ হামলায় গুরুতরসহ অন্তত ৫৫ জন আহত হয়েছেন।
সরেজমিনে জানা যায়, শেখর ইউনিয়নের তেলজুড়ী বাজার ও পরমেশ্বরদী পশ্চিমপাড়ার সঙ্গে পাশের সালথার খারদিয়া গ্রামের একাংশের আধিপত্য-সংক্রান্ত বিরোধ দীর্ঘদিন ধরেই চলছিল।
পুরোনো সেই উত্তেজনার ধারাবাহিকতায় পরমেশ্বরদীর জাপান (৩০)-এর ছেলে ও হারুনের ছেলের মধ্যে গোসল করা নিয়ে সামান্য বাকবিতণ্ডা সংঘর্ষে রূপ নেয়।
মুহূর্তেই দুই গ্রামের কয়েকশ’ লোক দেশীয় অস্ত্র নিয়ে একে অপরের ওপর হামলা চালায়।
দেশীয় অস্ত্র রামদা, বল্লম, চাইনিজ কুড়ালের আঘাতে গুরুতর আহত হন দৈবকনন্দপুর গ্রামের আফতাব (৪২), দূর্গাপুর চকপাড়ার নাদেন (২৪), তেলজুড়ীর সবজি ব্যবসায়ী রেজাউল (৫০), বাজিতপুরের বিপ্লব (৩৫), তেলজুড়ীর ওহিদ (৪০), ইউনুস (৫০) ও দূর্গাপুরের লিপটন শিকদার (৩৫)। এছাড়া ইটপাটকেল নিক্ষেপে আরও ৪০–৫৫ জন আহত হন।
স্থানীয়দের অভিযোগ, পরমেশ্বরদী গ্রামের মকসেদ শেখ (৭৫), মাসুদ ও হারুনের নেতৃত্বে এবং সালথার খারদিয়া এলাকা থেকে বিপুল সংখ্যক লোক এনে এ হামলা চালানো হয়।
দূর্গাপুর গ্রামের ইলিয়াস মোল্লা বলেন, খারদিয়ার লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে অতর্কিত হামলা চালিয়েছে। আমাদের অনেকেই গুরুতর আহত। এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই।
শেখর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান রইসুল ইসলাম পলাশ বলেন, খারদিয়া গ্রামের মুশফিক বিল্লাহ জিহাদ মিয়া ও তার মামা ইলিয়াস কাজীর নেতৃত্বে এক থেকে দেড় হাজার লোক ঢাল, সড়কি ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আমাদের ওপর হামলা চালিয়েছে। তারা আমাদের আত্মীয় তারপরও কেন এমন বর্বর হামলা, এর বিচার চাই।
বোয়ালমারী থানার ওসি মাহমুদুল হাসান বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ধরনের ঘটনা কাম্য নয়।
মধুখালী সার্কেলের এএসপি আজম খান বলেন, তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সালথা থেকে লোক এনে এমন ভয়াবহ হামলা চালানো হয়েছে। ভিডিও ফুটেজ দেখে দোষীদের শনাক্ত করে দ্রুত গ্রেপ্তার করা হবে। এলাকায় পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
মন্তব্য করুন