

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলায় আধিপত্য বিস্তার ও শালিশ বৈঠককে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে অন্তত ৪০ জন আহত হয়েছেন।
আহতদের মধ্যে গুরুতর চারজনকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং বাকিদের ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
রোববার (২ নভেম্বর) বিকেল ৪টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত উপজেলার হামিরদী ইউনিয়নের গুপিনাথপুর গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গুপিনাথপুর গ্রামের সায়মন শেখ (৫০) ও কুদ্দুস মুন্সির মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে এলাকাভিত্তিক আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধ চলছিল।
গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ছোট হামিরদী বাজারে মোতালেব মাতুব্বরের দোকানে দুই পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে সায়মন শেখ কুদ্দুস মুন্সিকে নিয়ে প্রকাশ্যে গালিগালাজ করেন। এতে এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
এ ঘটনার জেরে রোববার বিকেলে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের উদ্যোগে গুপিনাথপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে শালিশ বৈঠকের আয়োজন করা হয়। তবে সায়মন শেখের পক্ষ বৈঠক বর্জন করে।
এক পর্যায়ে দুই পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র–শস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। প্রায় দুই ঘণ্টাব্যাপী চলা এই সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ৪০ জন আহত হন।
স্থানীয় ছোট হামিরদী গ্রামের বাসিন্দা সাহাদাৎ ফকির (৪০) বলেন, একপক্ষ শালিশ বৈঠকে উপস্থিত না হওয়ায় উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। পরে দুই পক্ষের লোকজন ঢাল-সড়কি, দা-বটি নিয়ে একে অপরের ওপর হামলা চালায়। এতে অনেকেই আহত হয়েছেন।
আহত সবুজ শেখ (৩৫) বলেন, দীর্ঘদিন ধরে আধিপত্য নিয়ে বিরোধ চলছে। আজ শালিশে সায়মন পক্ষ না আসায় সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়।
অন্যদিকে কুদ্দুস মুন্সি (৬৫) অভিযোগ করে বলেন, সায়মন শেখের লোকজন শালিশে না এসে আমাদের ওপর হামলা চালিয়েছে। আমাদের অন্তত ২০টি বাড়ি ও তিনটি দোকান ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়েছে। আমাদের পক্ষের প্রায় ২৫ জন আহত হয়েছে।
এ বিষয়ে সায়মন শেখের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিবার ও পরিকল্পনা কর্মকর্তা তানসিভ জুবায়ের নাদিম জানান, সংঘর্ষে গুরুতর আহত চারজনকে ফরিদপুর মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে।
এছাড়া ২৫ থেকে ৩০ জনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে, আরও রোগী আসছেন।
ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আশরাফ হোসেন বলেন, সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে এলাকায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
মন্তব্য করুন