

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


কক্সবাজারের টেকনাফের সাবরাং ইউনিয়নের কুরাবুইজ্জা পাড়ায় শ্বাসরুদ্ধকর অভিযান চালিয়ে চট্টগ্রামের কথিত অপহৃত ব্যক্তি মো. আবু হানিফ (৫৫)–কে উদ্ধার করেছে টেকনাফ মডেল থানা পুলিশ।
পরে জানা যায়, তিনি নিজেই অপহরণের নাটক সাজিয়ে পরিবারের কাছ থেকে মুক্তিপণ আদায়ের পরিকল্পনা করেছিলেন।
শনিবার (২২ নভেম্বর) গভীর রাতে হাটহাজারী মডেল থানায় করা জিডি নং–১৪৮৫ এর সূত্র ধরে তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় প্রায় চার ঘণ্টার অনুসন্ধান ও অভিযান শেষে তাকে উদ্ধার করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন টেকনাফ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবু মোহাম্মদ জায়েদ নূর।
পুলিশ জানায়, গত ১৩ নভেম্বর সকালে হাটহাজারীর মির্জাপুর ইউনিয়নের চারিয়া কাজী পাড়া থেকে বের হয়ে আবু হানিফ স্বেচ্ছায় আত্মগোপনে যান।
প্রথম স্ত্রীকে না জানিয়ে তিনি সম্প্রতি টেকনাফের সাবরাংয়ের নুরুল হাকিমের বিধবা মেয়ে সানজিদা বেগম (৩৫)–কে দ্বিতীয় বিয়ে করেন। দীর্ঘ ৩০ বছরের দাম্পত্য অশান্তি, পারিবারিক দ্বন্দ্ব এবং দ্বিতীয় বিয়ের কারণে তিনি নিজের অবস্থান গোপন রেখে অপহরণের গল্প সাজান বলে জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেন।
পরিকল্পনা অনুযায়ী তার শ্যালক কাসিমকে দিয়ে হাত-পা বেঁধে সমুদ্রপাড়ের ঝাউবাগানে গাছের সঙ্গে বাঁধা অবস্থায় ভিডিও ধারণ করান হানিফ।
পরবর্তীতে সেই ভিডিও তিনি পরিবারের কাছে পাঠান এবং ৪ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন। উদ্ধারকালে তার কাছ থেকে অপহরণ নাটকের ভিডিও, দুটি মোবাইল ফোন ও পাঁচটি সিম কার্ড জব্দ করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হানিফ জানান, মুক্তিপণের টাকা হাতে পেলেই দ্বিতীয় স্ত্রী ও সৎ দুই সন্তানকে নিয়ে মালয়েশিয়া পালানোর পরিকল্পনা ছিল তার।এ অভিযানে নেতৃত্ব দেন টেকনাফ মডেল থানার ওসি (তদন্ত) হিমেল বড়ুয়া ও অপারেশন ওসি কামাল হোসেন।
উদ্ধারের পর আবু হানিফকে তার সহোদর ভাইয়ের জিম্মায় দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি পুরো বিষয়টি হাটহাজারী মডেল থানা কর্তৃপক্ষকে আনুষ্ঠানিকভাবে অবহিত করতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
ওসি জায়েদ নূর বলেন ঘটনাটি অত্যন্ত জটিলভাবে সাজানো হয়েছিল। প্রযুক্তি ব্যবহার করে ও মাঠ পর্যায়ের অভিযানে দ্রুত সময়ের মধ্যেই আমরা সত্য উদঘাটন করতে সক্ষম হয়েছি।স্থানীয়রা জানান, পুলিশের এমন দ্রুত ও দক্ষ অভিযান এলাকায় ব্যাপক প্রশংসা কুড়িয়েছে।
মন্তব্য করুন