

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


মাত্র তিন হাজার টাকায় বন্ধুদের কাছে কৌশলে নিজ স্ত্রীর সতীত্ব বিক্রি করে দিলেন ইটভাটা শ্রমিক রাজু। তিনদিন ধরে পালাক্রমে ধর্ষণের শিকার হয়ে অভিযুক্ত রাজুর স্ত্রী ভুক্তভোগি নারী তার স্বামীসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে।
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে এ ঘটনা ঘটে। সেই নারীর অভিযোগে তার স্বামীসহ পাঁচজনকে আটক করেছে পুলিশ। বিষয়টি তীব্র চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে।
এ ঘটনায় আটককৃতরা হলেন— ধর্ষিতার স্বামী নোয়াখালী জেলার সুধারাম (সদর) থানার রামহরিতালুক গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে রাজু আহমেদ (২৬), একই এলাকার মৃত সিরাজ মাঝির ছেলে বেলাল হোসেন (৩৫), আবুল কাশেমের ছেলে মো. হৃদয় (২৫), চাঁন মিয়া মাঝির ছেলে মহিন (২৬), একই থানার মুন্সীতালুক গ্রামের শাহ আলমের ছেলে আবুল কালাম (৪৫)।
ভুক্তভোগি জানান, গত ১৬ অক্টোবর রাত অনুমান ১০টার সময় বেলাল ও আবুল কালাম রুমে প্রবেশ করে আমার স্বামী রাজুর সাথে কিছুক্ষণ আলাপ করে। এরপর কালাম বাইরে চলে যায়। কিছুক্ষণ পর আমার স্বামী আমার মুখ চেপে ধরে এবং বেলাল আমাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। চক্ষু লজ্জায় কাউকে কিছু জানাইনি।
তিনি বলেন, এরপর ১৮ অক্টোবর রাতে হৃদয় ও মহিন উদ্দিন নামে আমার স্বামীর দুই বন্ধু আমার রুমে প্রবেশ করলে আবারও আমার স্বামী জোরপূর্বক আমার মুখ চেপে ধরে। এ সময় হৃদয় ও মহিন উদ্দিন আমাকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। একইভাবে ২০ অক্টোবর রাতে হৃদয় আমার স্বামীর উপস্থিতিতে আমাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে।
থানা সূত্রে জানা যায়, উপজেলার কালিকাপুর ইউনিয়নের মিরশ্বানী এলাকার একটি ইটভাটার শ্রমিক কোয়ার্টারে এ ঘটনা ঘটে। বৃহস্পতিবার রাতে ভুক্তভোগী নারী থানায় লিখিত অভিযোগ দিলে পুলিশ তৎক্ষণাৎ অভিযান চালিয়ে পাঁচ অভিযুক্তকে আটক করে।
চৌদ্দগ্রাম থানার তদন্ত কর্মকর্তা মো. গুলজার আলম বলেন, অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শনিবার বিকেলে তাদের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
এজাহার অনুযায়ী, ভুক্তভোগী নারী জানান—বিয়ের পর থেকে তার স্বামী রাজু নেশাগ্রস্ত হয়ে পড়ে এবং প্রায়ই শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করত।
কিছুদিন আগে পারিবারিক সমঝোতায় তিনি আবার স্বামীর সঙ্গে ফিরে আসেন। এরপর রাজু তাকে কুমিল্লার কালিকাপুর এলাকায় কর্মস্থলের কাছে এক শ্রমিকের ঘরে থাকার ব্যবস্থা করে দেয়।
সেখানে গিয়ে কয়েক দফায় তার ওপর নির্যাতন চালানো হয় বলে অভিযোগ করেন তিনি। পরে স্থানীয় এক ব্যক্তি বিষয়টি তার পরিবারের সদস্যদের জানালে তার বাবা ঘটনাস্থলে গিয়ে মেয়েকে উদ্ধার করেন।
পুলিশ জানায়, এ ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত রাজু আহমেদ (২৬) ছাড়াও আরও চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
ওসি মোহাম্মদ হিলাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, “নারী নির্যাতনের অভিযোগটি গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করা হচ্ছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে অভিযুক্তরা কিছু তথ্য দিয়েছে, যা যাচাই-বাছাই চলছে।”
 সর্বশেষ খবর পেতে  Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
    
    
    সর্বশেষ খবর পেতে  Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
    
মন্তব্য করুন
 
 
                    