

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


কুমিল্লার হোমনা থানায় পুলিশ হেফাজতে থাকা এক নারী আসামি আত্মহত্যা করেছেন। বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) ভোরে থানার নারী ও শিশু সহায়তা ডেস্কের একটি কক্ষে ওড়না পেঁচিয়ে তিনি আত্মহত্যা করেন। নিহত নারীর নাম ববিতা। তিনি হোমনা উপজেলার ঘনিয়ারচর গ্রামের খলিল মিয়ার স্ত্রী।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন, হোমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোরশেদুল ইসলাম চৌধুরী।
পুলিশ জানায়, বুধবার সকালে ববিতা তাঁর সতিনের ১১ বছরের ছেলে সায়মনকে ছুরিকাঘাত করেন। আহত শিশুটিকে প্রথমে হোমনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। বর্তমানে শিশুটি সেখানে চিকিৎসাধীন।
ঘটনার পর স্থানীয় লোকজন ববিতাকে আটক করে একটি গাছে বেঁধে রাখেন। খবর পেয়ে পুলিশ বিকেল পাঁচটার দিকে তাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। পরে আহত শিশুর চাচা স্বপন মিয়া বাদী হয়ে ওই রাতেই থানায় একটি মামলা করেন।
এ বিষয়ে ওসি মোরশেদুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, রাতে ববিতাকে থানার নারী ও শিশু সহায়তা ডেস্কে রাখা হয়েছিল। সেখানে তাঁর সঙ্গে আরেক নারী আসামি ও একজন নারী গ্রাম পুলিশ ছিলেন। ভোরের দিকে অন্যরা স্টাফরুমে গেলে ববিতা কক্ষে একা থাকেন।
এ সময় তিনি আত্মহত্যা করেন। ঘটনার পরপরই বিষয়টি নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে জানানো হয়েছে বলে জানান ওসি। ম্যাজিস্ট্রেট ঘটনাস্থলে এসে সুরতহাল শেষে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।
এ বিষয়ে হোমনা সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার আবদুল করিম বলেন, ববিতার সঙ্গে চার বছরের একটি শিশু থাকায় তাকে নারী ও শিশু সহায়তা ডেস্কে রাখা হয়েছিল। থানা হেফাজতে আত্মহত্যার ঘটনা হওয়ায় আইন অনুযায়ী নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।
মন্তব্য করুন
