

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


কুমিল্লার হোমনায় চারটি মাজারসহ একাধিক স্থাপনায় হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় ২ হাজার ২০০ জন অজ্ঞাত ব্যক্তিকে আসামি করে মামলা দায়ের হয়েছে।
বৃহস্পতিবার গভীর রাতে হোমনা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) তাপস কুমার সরকার বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। শুক্রবার সকালে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ রফিকুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে এবং আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রাখা হয়েছে।
বুধবার সকালে একটি ফেসবুক আইডি থেকে ধর্ম অবমাননাকর পোস্ট দেওয়া হয়। এরপর ক্ষুব্ধ জনতা থানার সামনে বিক্ষোভ করে অভিযুক্ত যুবকের শাস্তির দাবি জানায়। পুলিশ ও সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া হয় এবং ওই যুবককে দ্রুত আটক করে আদালতে পাঠানো হয়।
এ ঘটনায় একইদিন সন্ধ্যায় স্থানীয় এক রাজনৈতিক সংগঠনের নেতা যুবকের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেন।
পরদিন বৃহস্পতিবার সকালে উত্তেজিত জনতা মাইকে ঘোষণা দিয়ে আসাদপুর গ্রামের কফিল উদ্দিন শাহ ও হাওয়ালি শাহ মাজারে আগুন দেয় এবং কালাই শাহ ও আবদু শাহ মাজারে ভাঙচুর চালায়। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে পুলিশ ও সেনাবাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।
শুক্রবার সকালে আসাদপুরে গিয়ে দেখা যায়, মামলা ও গ্রেপ্তারের ভয়ে এলাকা প্রায় পুরুষশূন্য। আটক যুবকের মা অভিযোগ করে বলেন—ছেলেকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়ার পরও আমাদের ঘরবাড়ি ও মাজারে আগুন দেওয়া হলো। পুলিশ কোনো নিরাপত্তা দিতে পারেনি। সবকিছু হারিয়ে এখন শুধু প্রাণ নিয়ে বেঁচে আছি।
জেলা পুলিশ সুপার মো. নাজির আহমেদ খান জানান—ফেসবুক পোস্টের দায়ে অভিযুক্তকে তাৎক্ষণিকভাবে আটক করা হয়েছে। তবে যেসব ব্যক্তি হামলা ও অগ্নিসংযোগে জড়িত, তাদের শনাক্ত করা হয়েছে। আইন অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন
