

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


কুমিল্লার লাকসামে রেললাইনের পাশ থেকে উদ্ধার হওয়া যুবক মইন উদ্দিন অন্তর হত্যা মামলার রহস্য উদ্ঘাটন করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)-১১। ক্লুলেস এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে নয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে সংস্থাটি।
সোমবার দুপুরে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে র্যাব-১১ জানায়, গত ২৫ নভেম্বর সকালে লাকসাম উপজেলার গণ্ডামারা জবাইখানার কাছে ঢাকা–চট্টগ্রাম রেললাইনের পাশে এক অজ্ঞাত যুবকের লাশ দেখতে পান স্থানীয় বাসিন্দারা। খবর পেয়ে রেলওয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে। নিহতের মুখমণ্ডল ও মাথায় আঘাতের একাধিক চিহ্ন ছিল।
পরে পরিচয় শনাক্তের পর জানা যায়, নিহত যুবক মইন উদ্দিন অন্তর (১৮)। বাড়ি লাকসামের মোহাম্মদপুর গ্রামে। এ ঘটনায় অন্তরের মা অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে মামলা করেন। ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়।
র্যাব জানায়, ঘটনার গুরুত্ব বিবেচনায় গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়। তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তা ও গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-১১–এর একটি বিশেষ দল লাকসামসহ কুমিল্লার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালায়। পরে মোহাম্মদ রবিউল হোসেন ওরফে ক্যামেল (৩২), মো. ইসমাইল খান (২৫), মিলন হোসেন ওরফে ছোট মিলন (১৫), মো. হাসান ওরফে এমআই হাসান (২২)সহ নয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় ছয়টি মোবাইল ফোন।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা র্যাবকে জানান, অন্তর স্থানীয় একটি ভাংড়ির দোকানে কাজ করতেন এবং একটি অপরাধচক্রের সঙ্গে চলাফেরা করতেন। চুরি, ছিনতাই ও মাদক ব্যবসার লভ্যাংশ নিয়ে তাদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। সেই বিরোধের জেরে তর্কের এক পর্যায়ে অন্তরকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। পরে ঘটনাটি গোপন করতে মরদেহ রেললাইনের পাশে ফেলে রাখা হয়।
র্যাব জানায়, গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে তাদের লাকসাম রেলওয়ে থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
