বুধবার
১৯ নভেম্বর ২০২৫, ৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বুধবার
১৯ নভেম্বর ২০২৫, ৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

প্রতীকী দাঁড়িপাল্লা টাঙানোকে কেন্দ্র করে বিএনপি-জামায়াত সংঘর্ষ, আহত ৭

চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১৯ নভেম্বর ২০২৫, ০২:৩৯ পিএম
সংঘর্ষে আহতরা
expand
সংঘর্ষে আহতরা

চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায় দাঁড়িপাল্লা টাঙানোকে কেন্দ্র করে উপজেলার কুমারী ইউনিয়নের শ্যামপুরে জামায়াত সমর্থক ও বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।

এতে এক নারী ইউপি সদস্য ও যুবদল নেতাসহ অন্তত সাতজন আহত হয়েছেন। ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) বিকেলে।

আহতদের উদ্ধার করে আলমডাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। এদের মধ্যে নারী ইউপি সদস্যসহ পাঁচজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

আলমডাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের তথ্যমতে, আহত হয়ে যারা চিকিৎসা নিচ্ছেন তাদের মধ্যে রয়েছে কুমারী ইউপির সংরক্ষিত (১, ২, ৩) ওয়ার্ডের সদস্য রোকসানা খাতুন (৫০), তার স্বামী ও ইউনিয়ন কৃষকদলের যুগ্ম সম্পাদক রাশিদুল ইসলাম (৫৫), কুমারী ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক তাইজেল হোসেন (৫০), আলমডাঙ্গা পৌর যুবদলের সদস্য সচিব সাইফুল হক কনক (৩৫) ও সদস্য শাহাজাহান (৩৫)।

ইউপি সদস্য রোকসানা খাতুন জানান, প্রতিবেশী জামায়াত সমর্থক মাসুম তাদের বাড়ির পাশে জামায়াতে ইসলামীর প্রতীক দাঁড়িপাল্লা টাঙাচ্ছিলেন।

রাজনৈতিক মতপার্থক্যের কারণে তিনি তা সরাতে অনুরোধ করলে কথাকাটাকাটি শুরু হয়। এরপর মাসুম স্থানীয় ওল্টুসহ কয়েকজনকে ডেকে এনে ধারালো অস্ত্র ও লাঠিসোঁটা দিয়ে তাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়।

অন্যদিকে, আলমডাঙ্গা পৌর যুবদলের সদস্য শাহাজাহান বলেন, তারা একটি অনুষ্ঠান শেষে ফেরার পথে ঘটনাস্থলে পৌঁছালে তাদের বিএনপির সমর্থক মনে করে ২০-৩০ জনের একটি দল লাঠিসোঁটা নিয়ে হামলা করে।

তবে, আলমডাঙ্গা উপজেলা জামায়াতের আমির শফিউল আলম বকুল দাবি করেন, দাঁড়িপাল্লা টাঙাতে গেলে বিএনপির ইউপি সদস্য ও তার স্বামী বাধা দেন। তর্কাতর্কির পর উল্টো বিএনপির নেতাকর্মীরাই জামায়াতের কর্মীদের বাড়িতে হামলা চালালে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়।

সংঘর্ষের খবর পাওয়ার পরপরই আহত নেতাকর্মীদের দেখতে হাসপাতালে ছুটে যান জেলা বিএনপির সম্পাদক ও চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের প্রার্থী শরীফুজ্জামান শরীফ, জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সফিকুল ইসলাম পিটু, আলমডাঙ্গা উপজেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি আখতার হোসেন জোয়ার্দার, সাধারণ সম্পাদক আমিনুল হক রোকন সহ স্থানীয় ও জেলা পর্যায়ের অন্যান্য শীর্ষ নেতারা। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর চুয়াডাঙ্গা ১ আসনের এমপি পদপ্রার্থী এ্যাডভোকেট মাসুদ পারভেজ রাসেলসহ নেতাকর্মীরাও ছুটে যান হাসপাতালে।

আলমডাঙ্গা উপজেলা বিএনপির সম্পাদক আমিনুল ইসলাম রোকন অভিযোগ করেন, জামায়াতে ইসলামীর ব্যানারে যুবলীগের কর্মীরা হামলা চালিয়েছে। অন্যদিকে, কুমারী ইউনিয়ন বিএনপির সম্পাদক আবু বক্কর সিদ্দিক যুবলীগের নেতা ওল্টুর নেতৃত্বে হামলার অভিযোগ করেন।

আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাসুদুর রহমান জানান, দাঁড়িপাল্লা প্রতীক টাঙানো নিয়ে শুরু হওয়া বিরোধ দ্রুতই দুই রাজনৈতিক পক্ষের সংঘর্ষে পরিণত হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তিনি আরও জানান, এখন পর্যন্ত কোনো পক্ষই থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেনি।

google news সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন