

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার চিৎলা গ্রামে ঘটে গেছে এক চরম হৃদয়বিদারক ঘটনা। মরদেহ আটকে রেখে সুদের টাকা আদায়ের মতো অমানবিক আচরণে হতবাক স্থানীয়রা।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, নতুনপাড়ার নিয়ামত আলীর ছেলে হারুন (৪৫), পেশায় রাজমিস্ত্রি, গত শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) মেয়ের বাড়ি মেহেরপুরের মহাজনপুরে বেড়াতে যান। পরদিন সকালেই হঠাৎ স্ট্রোকে তার মৃত্যু হয়। মরদেহ গ্রামে আনা হলে চারিদিকে শোকের ছায়া নেমে আসে। আসরের নামাজের পর দাফনের প্রস্তুতি চলছিল—তখনই ঘটল চরম অমানবিকতা।
স্থানীয়দের ভাষ্য অনুযায়ী, মরদেহ গোসলের সময় প্রতিবেশী মর্জিনা খাতুন দাবি করেন, হারুনের কাছে তার ১৫ হাজার টাকা সুদসহ পাওনা আছে। তিনি সাফ জানিয়ে দেন, টাকা পরিশোধ না করলে দাফন কার্যক্রম হবে না।
শোকাহত পরিবার মরদেহের পাশে বসে বাধ্য হয়ে টাকার বিষয়ে তর্কে জড়িয়ে পড়ে। প্রায় এক ঘণ্টা টানাপোড়েনের পর শেষমেশ পরিবার টাকা শোধ করে। টাকা পাওয়ার পর মর্জিনা সেখান থেকে দ্রুত সরে যান।
ঘটনাটি গ্রামজুড়ে তীব্র ক্ষোভের জন্ম দিয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও এর প্রতিবাদ ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয় “রেডিও চুয়াডাঙ্গা” ফেসবুক পেজে ঘটনার ভিডিও প্রকাশ হওয়ার পর সর্বত্র নিন্দার ঝড় উঠেছে।
মন্তব্য করুন
