

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


বরগুনার আমতলীর হতদরিদ্র পান বিক্রেতা বাবুল সিকদার পাঁচ সদস্যের পরিবার নিয়ে দুঃখ–কষ্টে জীবনযাপন করেন। হাটে হাটে পান বিক্রি করে দৈনিক যে অল্প আয় হয়, তা দিয়ে সংসার চালানোই তার জন্য কঠিন।
এমন পরিস্থিতিতে পরিবারের বেঁটে (খাট) আকৃতির সদস্যদের নিয়ে কন্যাদান তার জন্য প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ে। ঠিক সেই সময় তার পাশে এসে দাঁড়ায় ইউনিভার্সাল এমিটি ফাউন্ডেশন।
ফাউন্ডেশনটি বাবুল সিকদারের মেয়ের বিবাহের সম্পূর্ণ খরচ বহনের দায়িত্ব গ্রহণ করে। তাদের এই মানবিক উদ্যোগকে এলাকাবাসী আন্তরিক অভিনন্দন জানিয়েছে মানবিক এক অনন্য উদ্যোগ।
জানা যায়, ইউনিভার্সাল এমিটি ফাউন্ডেশনের কন্যাদান প্রকল্পটি দুঃস্থ ও অসহায় পরিবারের কন্যাদের বিবাহে আর্থিক বা প্রয়োজনীয় সব ধরনের সহযোগিতা প্রদানের একটি মানবিক কর্মসূচি। সর্বজনীন ভ্রাতৃত্ব ও জনহিতৈষী মূল্যবোধ থেকে অনুপ্রাণিত এই প্রকল্পের মাধ্যমে ইতোমধ্যে বহু পরিবার উপকৃত হয়েছে।
এর ধারাবাহিকতায় এবার ১৯তম কন্যাদান অনুষ্ঠিত হলো আমতলীর কলাগাছিয়া বাজারে বাবুল সিকদারের মেয়ের সঙ্গে পটুয়াখালীর আউলিয়াপুর ইউনিয়নের মোহাম্মদ সেলিম মিয়ার ছেলে ফজলে রাব্বি রাকিবের বিবাহের সব খরচ ফাউন্ডেশনটি বহন করেছে। এর আগে ১৮তম কন্যাদান সম্পন্ন হয় কুড়িগ্রাম জেলার উলিপুর উপজেলার বজরা গ্রামে।
বরগুনা জেলার ইউনিভার্সাল এমিটি ফাউন্ডেশনের টিম লিডার আব্দুস সাকুর বলেন, আমরা বাবুল সিকদারের অসহায় অবস্থার তথ্য পাওয়ার পর সবকিছু যাচাই করে তার কন্যাদানের সম্পূর্ণ খরচ বহন করেছি। এর আগে আমতলীতে অসহায়, পঙ্গু, শীতার্ত মানুষের মাঝে শীতবস্ত্রসহ নানা সেবামূলক কাজ করেছি। আগামীর কার্যক্রমগুলোর জন্য সবার দোয়া ও সহযোগিতা কামনা করছি।
স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ইউপি সদস্য হানিফ বিশ্বাস বলেন বাবুল পান বিক্রি করে কষ্টে সংসার চালায়। আমরা যতটুকু পেরেছি তাকে সাহায্য করেছি। মানবিক ফাউন্ডেশনের এই উদ্যোগকে আমরা সাধুবাদ জানাই।
উপজেলা সমাজসেবা অফিসার মোঃ মঞ্জুরুল হক কাওসার বলেন ইউনিভার্সাল এমিটি ফাউন্ডেশনের বিভিন্ন মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে আমরা অবগত। তারা আমতলীতে দীর্ঘদিন ধরে অসহায় মানুষের পাশে আছে—যা সত্যিই প্রশংসনীয়। তাদের এই মহৎ উদ্যোগকে আমি ব্যক্তিগতভাবে স্বাগত জানাই।
মন্তব্য করুন