

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


২০% বাড়ী ভাড়া ও ১৫০০ টাকা মেডিকেল ভাড়ার দাবির আন্দোলনে ঢাকায় শিক্ষকদের ওপর পুলিশি হামলার প্রতিবাদে আমতলী উপজেলার ৪০টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ২৯টি মাদ্রাসা ও ৮টি কলেজে কর্মবিরতি পালন করছে। এ সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা শ্রেণি কক্ষে শিক্ষার্থীদের পাঠদান বিরতি রেখেছেন।
তাদের দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত তারা কর্মবিরতি অব্যহত রাখছেন বলে জানান আমতলী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি মোঃ মাহবুবুল আলম। শিক্ষকরা কর্মবিরতির ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়েছেন।
জানা গেছে, ২০% বাড়ী ভাড়া ও ১৫০০ টাকা মেডিকেল ভাড়ার দাবিতে বেসরকারি শিক্ষকরা দীর্ঘদিন আন্দোলন করে আসছেন। শিক্ষা উপদেষ্টা শিক্ষকদের এ দাবি মেনে নেয়ার আশ্বাস দেন।
কিন্তু তারা দাবি বাস্তবায়ন না করে শিক্ষকদের সাথে প্রহসন করে ৫০০ টাকা বাড়ি ভাড়া বৃদ্ধির প্রজ্ঞাপন জাড়ি করেন। এ প্রজ্ঞাপন প্রত্যাখ্যান করেফুসে উঠেন শিক্ষক সমাজ।
গত রবিবার দাবি আদায়ে শিক্ষকরা ঢাকা প্রেসক্লাবের সামনে শান্তিপুর্ণ আন্দোলন করছিল। ওই আন্দোলনে পুলিশ অতর্কিত হামলা চালায়। শিক্ষকদের ওপর হামলা, নির্যাতনে প্রতিবাদ ও দাবি আদায়ে শিক্ষক নেতারা দেশব্যাপী কর্মবিরতি পালনের কর্মসুচী ঘোষনা দেন। এই ধারাবাহিকতায় সোমবার আমতলী উপজেলার সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কর্মবিরতি পালন করছেন।
শিক্ষকরা প্রতিষ্ঠান খোলা রেখে শ্রেনী কক্ষে পাঠদান বিরত রেখেছেন। এতে বিপাকে পরেছেন শিক্ষার্থীরা।
আমতলী বকুলনেছা মহিলা ডিগ্রী কলেজের একাদ্বশ শ্রেনীর ছাত্রী আফিয়া বলেন, কলেজে কর্মবিরতি চলায় বাসায় ফিরে এসেছি। তিনি আরো বলেন, একজন শিক্ষক জাতি গড়ার কারিগড় তাদের এভাবে লাঞ্ছিত করবে এটা মেনে নেয়া যায় না। দ্রুত সরকারকে তাদের দাবী মেনে নেয়ার আহবান জানান তিনি।
আমতলী উপজেলার খেকুয়ানী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ মহিউদ্দিন স্বপন বলেন, দাবি আদায় করতে গিয়ে শিক্ষকদের লাঞ্ছিতের ঘটনা অত্যান্ত দুঃখজনক। দাবি আদায় করতে বিদ্যালয় খোলা রেখে কর্মবিরতি পালন করছি।
আমতলী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি মোঃ মাহবুবুল আলম বলেন, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে। এখন আর ঘরে ফিরে যাওয়ার সুযোগ নেই।
তিনি আরো বলেন, প্রয়োজনে লাগাতার কর্মবিরতি দেয়া হবে।
মন্তব্য করুন