

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


এনপিবি নিউজে "সাত শিক্ষককে ব্যাক ডেটে নিয়োগের অভিযোগ" শিরোনামে সংবাদ প্রকাশের পর জেলা শিক্ষা অফিসার বরাবর তদন্তের জন্য লিখিত নির্দেশ জারি করেছে শিক্ষা অধিদপ্তর।
রোববার (২৩ নভেম্বর) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা শিক্ষা অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) আবু তৈয়ব মো. ইউনুছ আলী।
এসময় তিনি বলেন,"অঞ্জনগাছি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ব্যাক ডেটে দেখিয়ে সাত শিক্ষক নিয়োগের অভিযোগের ঘটনায় সংবাদ প্রকাশিত হলে আমার বরাবর একটি চিঠির মাধ্যমে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে শিক্ষা অধিদপ্তর।
এবিষয়ে তদন্ত করে প্রতিবেদন পাঠানো হবে। এর পর শিক্ষা অধিদপ্তর প্রয়োজনীয় ব্যবস্তা গ্রহণ করবে।
এর আগে, কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার অঞ্জনগাছি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে সাতজন শিক্ষককে ব্যাক ডেটে নিয়োগ দেওয়ার অভিযোগ উঠে।
বিদ্যালয়ের ২০২২ সালের ব্যানবেইজ জরিপ অনুযায়ী, ২০০৫ সাল থেকে ২০১৪ সালের মধ্যে শিক্ষক ভারতী রানী বিশ্বাস, মাহবুবুর রহমান, জাহাঙ্গীর আলম, মহিবুল হক, আব্দুস সালাম, রওশন আরা ও সেলিনা আক্তারের নিয়োগ হলেও দীর্ঘদিন তাদের নাম বিদ্যালয়ের ব্যানবেইজ তালিকায় ছিল না। এমনকি সেই তালিকায় তারা অনুপস্থিত।
তথ্য অনুযায়ী, ভারতী রানী বিশ্বাস, জাহাঙ্গীর আলম, মহিবুল হক ও আব্দুস সালামের নিয়োগ দেখানো হয়েছে ২০০৫ সালে। কিন্তু ২০১৩ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত ব্যানবেইজে তাদের কোনো নাম নেই। একইভাবে, ২০১৪ সালে নিয়োগপ্রাপ্ত মাহবুবুর রহমান, রওশন আরা ও সেলিনা আক্তারের নামও অনুপস্থিত ছিল।
এরপর ১৮ নভেম্বর (সোমবার) একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে শীর্ষ জাতীয় গণমাধ্যম "এনপিবি নিউজ"। এনিয়ে জেলাজুড়ে তোলপাড়া সৃষ্টি হয়।
স্থানীয় শিক্ষানুরাগীদের আশা পূর্ণাঙ্গ তদন্তের পর বিদ্যালয়ে চলমান অনিয়ম, ব্যাক-ডেট নিয়োগ, আর্থিক লেনদেন ও ক্ষমতার অপব্যবহারের পুরো চিত্র সামনে আসবে।
মন্তব্য করুন