

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


মুন্সীগঞ্জে বালিগাঁও সাকুরা ফিলিং স্টেশনের মালিক রশিদ বেপারী বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত মালিক ফিলিং স্টেশনটি বায়না করেও অন্যত্র বিক্রির পায়তারা করছেন। এমনটাই অভিযোগ করেছন বায়নায় মালিক কাজী ইউছুফ হাসান।
আর এ প্রতারণার ঘটনা সাথে নাম উঠে এসেছে রশিদ বেপারীর ছেলে ওমর ফারুক হৃদয় ও বালিগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের ১ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য মো. দ্বীন ইসলামের বিরুদ্ধে।
জানা গেছে, জেলার টঙ্গীবাড়ি উপজেলার বালিগাঁওয়ের সাকুরা ফিলিং স্টেশনটি চলতি বছরের ২ ফেব্রুয়ারী ব্যবসায়ী কাজী ইউছুফ হাসানের কাছে জমিসহ সকল স্থাপনা প্যাকেজ ৮ কোটি টাকা মূল্য নির্ধারণ করে বায়না করেন।
রমধ্যে নগদ ও ব্যাংক লোনসহ ২ কোটি ৯৪ লাখ টাকা পরিশোধ উল্লেখ্য রয়েছে। সময়সীমা নির্ধারণ ছিল চলতি বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত। সাকুরা ফিলিং স্টেশনটি প্যাকেজ মূল্য ৮ কোটি টাকা নির্ধারণের মধ্যে ছিল ২১ শতাংশ জমি, ডিজেল ডিজিটাল মেশিন ৪ টি, পেট্রোল ডিজিটাল মেশিন ১ টি, ডিজেল ট্যাংক ১ টি, পেট্রোল ট্যাংক ২ টি, মালামাল রাখার গোডাউন ৩ টি ও একটি দ্বিতীয় বিল্ডিং সহ আর অন্যান্য জিনিসপত্র।
এদিকে, ব্যবসায়ী কাজী ইউছুফ হাসান একাধিক বার রশিদ বেপারীকে সম্পত্তিসহ স্থাপনা বুঝিয়ে দিতে বললে তিনি নানান টালবাহানা শুরু করেন। সর্বশেষ স্থানীয় ও উপজেলার একাধিক সিনিয়র ব্যক্তিবর্গসহ জমি পরিমাপ করলে। সড়ক ও জনপদের সড়কের একোয়ার বাদে সরেজমিনে সাকুরা ফিলিং স্টেশনের ৭ শতাংশ ১৫ পয়েন্ট জমি পাওয়া যায়।
এ বিষয়টির মিমাংসা নিয়ে একাধিকবার স্থানীয় প্রশাসনসহ সমাধানের চেষ্টা করলেও তার কোন প্রতিকার পাওয়া যায়নি। ফিলিং স্টেশনটি বুঝিয়ে পেতে ভুক্তভোগী এ নিয়ে দুইবার উকিল নোটিশও করেছেন মালিক রশিদ বেপারীর নিকট। এতে মিলছে না এর প্রতিকার।
ব্যবসায়ী কাজী ইউছুফ হাসান বলেন, আমি সাকুরা ফিলিং স্টেশনটি ২১ শতাংশ জমিসহ ৮ কোটি টাকা মূল্যে ক্রয় করি। চলতি ৩০ জুন আমাকে রেজিষ্ট্রেশন করে বুঝিয়ে দেয়ার কথা ছিল। ফিলিং স্টেশনের মালিক নানান তালবাহানা শুরু করছেন। প্রশাসন সহ একাধিক বার সমাধানের চেষ্টা করলেও সমাধান হচ্ছে না। এরই মধ্যে অন্যত্র বিক্রির চেষ্টা করছেন। বুঝিয়ে দেয়ার জন্য আমি দু’বার আইনজীবীর মাধ্যমে নোটিশ করেছি।
তিনি আরও বলেন, রশিদ বেপারী ওই উপজেলার একাধিক ব্যক্তির কাছে থেকে পাম্প দেখিয়ে কোটি টাকা মতো দেনা রয়েছে তার। এছাড়া বর্তমান বালিগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার একটি পাওনা টাকার চুক্তি বানিয়ে ফিলিং স্টেশনটি দখল করে চালাচ্ছেন।
সাকুরা ফিলিং স্টেশনের পাইকারী তেল বিক্রেতা নারায়ণগঞ্জের ব্যবসায়ী মো. মিলন বলেন, আমি ফিলিং স্টেশনের মালিক রশিদ বেপারীর কাছে বাকী তেল বাবদ ৩ কোটি টাকার উপরে পাবো। তিনি আমাকে চেক ও দুইটি পাম্প কাগজ করে দিয়েছেন চালানোর জন্য। ‘হ্যান্ডনোট/কর্জনামা দলিলের মাধ্যমে, যা ২০২৪ সালের ২২ শে জানুয়ারী সম্পাদন হয়। দলিলে লেখা রয়েছে- রশীদ বেপারী মারা গেলেও, তার মৃত্যুর পর পরিবারের সদস্য আমার পাওনা মিটাবেন।
তিনি আরও বলেন, কাগজ অনুযায়ী ফিলিং স্টেশনটি চালাতাম। এখন আমাকে বের করে দিয়ে রশিদ বেপারী ও বালিগাঁও মেম্বার মো. দীন ইসলাম পাম্প পরিচালনা করছেন। চেক ডিজনার করলে, আমাকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। পরে থানায় জিডি করলে, এখন আদালতে মামলা চলমান রয়েছে।
অভিযোগের বিষয়ে সাকুরা ফিলিং স্টেশনের মালিক রশীদ বেপারী জানান, আমি প্যাকেজ আট কোটি টাকা পাম্প বিক্রি করেছি। আমি এর নিচে হলে রেজিস্টার করে দিবো না। যে টাকা আমাকে দিছে, তা আমি ফেরত দিয়ে দিবো। এখানে সড়ক ও জনপথের জমি রয়েছে এমন প্রশ্নে তিনি জানান, আমি এগুলোসহ কিনছি, সহ বিক্রি করমু।
এ নিয়ে বালিগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের ১ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য মো. দ্বীন ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি রশীদ বেপারীর কাছে থেকে টাকার বিনিময় পাম্প চালাচ্ছি।
আমার কাছে পাম্প মর্গেজ আছে। আপনি একজন জনপ্রতিনিধি হয়ে এ পাম্প নিয়ে পাইকারী তেলের পাওনাদার মিলনের একাধিক বিচার-শালিশ করেছেন। তাহলে এখন আবার ব্যবসা করতে আসলেন কিভাবে।
এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, জনপ্রতিনিধিরা কি ব্যবসা করতে পারে না। আমি টাকা দিয়ে ব্যবসা করছি। আমার ঢাকায় ব্যবসা রয়েছে।
মন্তব্য করুন
