

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


গাজীপুরের টঙ্গীতে অবস্থিত তা’মীরুল মিল্লাত কামিল মাদ্রাসায় চার দফা দাবিতে শিক্ষার্থীদের দিনব্যাপী বিক্ষোভের এক পর্যায়ে ছাত্র–শিক্ষক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার অভিযোগ পাওয়া গেলে গভর্নিং বডির প্রধান ড. কোরবানি আলী মাদ্রাসায় উপস্থিত হয়ে অভিযোগপ্রাপ্ত তিন শিক্ষককে তাৎক্ষণিকভাবে বহিষ্কারের নির্দেশ দেন। মঙ্গলবার সকাল ৮ টা ৫৫ মিনিটের সময় আলিম দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীরা বেতন বৃদ্ধি, অতিরিক্ত পরীক্ষার ফি, গরিব শিক্ষার্থীদের সহায়তা এবং স্কলারশিপ চালুর দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করেন। পরে বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা এতে যোগ দেন। আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন—কিছু শিক্ষক আন্দোলন থামাতে গিয়ে শিক্ষার্থীদের মারধর করেন। এতে বেশ কয়েকজন রক্তাক্ত হন এবং কারও কারও জামাকাপড় ছিঁড়ে যায়। কেন্দ্রীয় ছাত্রসংসদ টাকসুর দায়িত্বশীল ওবায়েদসহ কয়েকজন শিক্ষার্থীও হামলার শিকার হন বলে দাবি করা হয়। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হলে শিক্ষার্থীরা মাদ্রাসার প্রধান ফটক ভেঙে ঢাকা–ময়মনসিংহ মহাসড়কে অবস্থান নেন। প্রায় দেড় ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ থাকার পর পুলিশের অনুরোধে তারা পুনরায় ক্যাম্পাসে ফিরে আসে। ক্যাম্পাসের অস্থিরতা পর্যালোচনা করে গভর্নিং বডির প্রধান ড. কোরবানি আলী অভিযুক্ত তিন শিক্ষককে বহিষ্কারের নির্দেশ দেন এবং শিক্ষার্থীদের কয়েকটি দাবি বিবেচনায় নেওয়ার আশ্বাস দেন। তবে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন—দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। কেন্দ্রীয় ছাত্রসংসদের জিএস সাইদুল ইসলাম বলেন, “যারা শিক্ষার্থীদের ওপর শক্তি প্রয়োগ করেছে—তাদের বিষয়ে কঠোর সিদ্ধান্ত আসবে।”
অপরদিকে, সন্ধ্যা সাতটার দিকে অবরুদ্ধ শিক্ষকরা বের হয়ে নাম প্রকাশ করতে অনিচ্ছুক অভিযোগ করেন অনির্বাচিত ছাত্রসংসদের কিছু দায়িত্বশীলদের কারণে ছোট আন্দোলন বড় হয়ে গেছে। ছাত্রসংসদের দায়িত্বশীলরা আন্তরিক হলে এমন বড় হতো না আন্দোলনটা। এটা আরো সুন্দর ভাবে সমাধান করা যেতো। তবে অনেক শিক্ষক বলছেন দীর্ঘদিন ছাত্রসংসদ নির্বাচন না হওয়াতেই বিশৃঙ্খলা দেখা মিলে আন্দোলন গুলোতে। আমরা মাদ্রাসা পরিচালনা পরিষদের সাথে আলোচনা করে ছাত্র সংসদ নির্বাচনের ব্যবস্হার বিষয়ে জোরদার দিব। অন্যদিকে অধ্যক্ষ ড. হিফজুর রহমান জানান, আলোচনার মাধ্যমে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা চলছে এবং পরে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিক্রিয়া জানানো হবে।
মন্তব্য করুন