

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


জুলাই গণঅভ্যুত্থানে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির ফাঁসির আদেশ ঘোষণায় স্বস্তি প্রকাশ করেছেন বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার তিন শহীদ পরিবারের সদস্যরা। সোমবার বিকালে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে তারা দ্রুত রায় কার্যকরের দাবি জানান। এ সময় আন্দোলনে আহত যোদ্ধারাও তাদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করেন।
২০২৪ সালের জুলাই–আগস্টের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে উপজেলার দুই শিক্ষার্থী ও এক বিশ্ববিদ্যালয়কর্মী নিহত হন। এক বছর পেরিয়ে গেলেও শোক এখনো পিছু ছাড়েনি শহীদ পরিবারগুলোর।
রহমতপুর ইউনিয়নের মহিষাদী গ্রামের শহীদ ফয়সাল আহমেদ শান্তর বাবা জাকির হোসেন বলেন, “রায় আমরা পেয়েছি, এখন চাই দ্রুত কার্যকর হোক। আমাদের সন্তানরা ন্যায়বিচারের অপেক্ষায় জীবন দিয়েছে। দীর্ঘসূত্রতা আমরা দেখতে চাই না।” ২০২৪ সালের ১৬ জুলাই চট্টগ্রাম শহরের মুরাদপুর এলাকায় কোটা সংস্কার ও বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ফয়সাল মারা যান।
আন্দোলনে নিহত আরেক শিক্ষার্থী রাকিব হোসাইন (২৯) বাবুগঞ্জের মানিককাঠি গ্রামের কৃষক আলমগীর হোসেনের ছেলে। ৫ আগস্ট আন্দোলনের বিজয়ের কয়েক ঘণ্টা আগে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসংলগ্ন এলাকায় গুলিবিদ্ধ হয়ে তিনি মারা যান। রাকিবের বড় ভাই আবুল কালাম বলেন, “রায় আমাদের আশা জাগিয়েছে। তবে আমরা চাই দ্রুত এর বাস্তবায়ন।”
নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টাফ আবদুল্লাহ আল আবির (২৮) গত বছরের ১৯ জুলাই আন্দোলনে অংশ নিয়ে গুলিবিদ্ধ হন। ২০ জুলাই তাঁর মৃত্যু হয়। পরদিন রাতে বাবুগঞ্জের বাহেরচর ক্ষুদ্রকাঠী গ্রামে দাফন করা হয়। আবিরের মা পারভীন সুলতানা কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, “আমার ছেলে ন্যায়বিচারের আন্দোলনে জীবন দিয়েছে। রায় কার্যকর হলেই তার আত্মা শান্তি পাবে।”
শহীদ পরিবারগুলোর অভিন্ন দাবি—ঘোষিত ফাঁসির রায় দ্রুত কার্যকর করে ন্যায়বিচারের পূর্ণতা নিশ্চিত করা হোক।
মন্তব্য করুন