

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


গতবছর অর্থাৎ ২০২৪ সালে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে আজ সোমবার শেখ হাসিনাকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১। ট্রাইব্যুনাল বলেছেন শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে।
সোমবার (১৭ নভেম্বর) সন্ধ্যায় রায় ঘোষণার পর খুশি হয়ে মিষ্টি বিতরণ করে বরগুনা ছাত্র-জনতা। সোমবার সন্ধ্যায় বরগুনা শহরের আল মিজান শপিং কমপ্লেক্সের সামনে সর্বস্তরের জনগণের মাঝে মিষ্টি বিতরণ করা হয়। এসময় আনন্দ প্রকাশ করে সাধারণ মানুষ।
হাসান মাহমুদ নামে এক পথচারী বলেন, আমি দুটি মিষ্টি খেয়েছি। কত খুশি হলে মানুষ দুটি মিষ্টি খায়। ৫ আগস্টের পর হাসিনা দৌড়ানি খেয়ে ভারতে পালিয়েছে। সে অসংখ্য মানুষকে হত্যা করেছে খুন করেছে। আজ রায়ে তাকে ফাঁসির রায় দেয়া হয়েছে। এ রায়ে আমরা অনেক খুশি।
শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছিলো পাঁচটি। এগুলোর মধ্যে এক নম্বর অভিযোগে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে সুপিরিয়র কমান্ড রেসপনসিবিলিটি প্রমাণিত হওয়ায় তাকে আমৃত্যু কারাদণ্ড দেন ট্রাইব্যুনাল। এ রায় দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে বলে জানায় সাধারণ মানুষ।
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কারী মীর নিলয় বলেন, ২০২৪ সালের জুলাইয়ে ছাত্র জনতার যৌক্তিক আন্দোলনে পতিত হাসিনার নির্দেশে নির্বিচারে মানুষ মারা হয়। এমনকি আন্দোলন কারীদের রাজাকার বলে অ্যাখা দেয়া হয়। আজ এই স্বৈরাচারের ফাঁসির রায় হয়েছে। এতে দেশের সাধারণ মানুষ খুশি।
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কারী রেজাউল করিম বলেন, এ রায় দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। ভবিষ্যতে অন্য কোনো সরকার আর স্বৈরাচার হওয়ার সাহস করবে না। এই ঐতিহাসিক রায়ে বরগুনার সর্বস্তরের মানুষ খুশি।
শেখ হাসিনাকে মোট ৩টি অভিযোগে তাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। সোমবার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এই রায় ঘোষণা করেন। রায়ে একইসঙ্গে শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালের বাংলাদেশে থাকা সম্পদ জব্দ করার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
মন্তব্য করুন