রবিবার
১৬ নভেম্বর ২০২৫, ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
রবিবার
১৬ নভেম্বর ২০২৫, ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পেঁপে চাষে লাভবান অধ্যাপক মোস্তফা কামাল

বাবুগঞ্জ (বরিশাল) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১৬ নভেম্বর ২০২৫, ১১:২১ এএম
শিক্ষকতার পাশাপাশি কৃষিকাজে দেখিয়েছেন দারুণ সাফল্য
expand
শিক্ষকতার পাশাপাশি কৃষিকাজে দেখিয়েছেন দারুণ সাফল্য

শিক্ষকতার পাশাপাশি পেঁপে চাষ করে সফল হয়েছেন বাবুগঞ্জ ডিগ্রি কলেজের অধ্যাপক মোস্তফা কামাল। বাবুগঞ্জ উপজেলার চাঁদপাশা ইউনিয়নের গাজীপুর গ্রামে প্রায় ১ একর জমিতে গড়ে তুলেছেন মিষ্টি ও সুস্বাদু পেঁপে বাগান।

এলাকায় তিনি একজন আদর্শ কৃষক হিসেবে পরিচিত। তিনি ইন্ডিয়ান শাহী ও কাশিশ্মরি জাতের পেঁপে চাষে সফলতা অর্জন করেছেন।

তিন বছর আগে মাত্র ১০ টি পেঁপে গাছ রোপণের মাধ্যমে তিনি শুরু করেন। এখন তার ২ টি পেঁপে বাগানে অন্তত ১ হাজারটি ফলসহ গাছ রয়েছে। উপজেলার চাঁদপাশা ইউনিয়নের গাজীপুর গ্রামের বাড়ীর পাশেই ৫০০ টি পেঁপে গাছে ব্যাপক ফলন ধরেছে।

ওই বাগান থেকে এই সিজনে ১০ লাখ টাকার কাঁচা ও পাকা পেঁপে বিক্রির আশা করছেন তিনি। পাশাপাশি ঘেরে রয়েছে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ ও সবজি। সেখানে পাঙাশ, রুই, কাতলাসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ চাষ করেছেন। অধ্যাপক মোস্তফা কামাল বলেন,আমি শিক্ষাকতা পেশার পাশাপাশি অবসর সময়ে পেঁপে চাষ করে লাভবান হয়েছি।

এবছর যদিও বৃষ্টির প্রবণতা বেশি তারপরও আমার বাড়ীর পাশের বাগান থেকে অন্তত ১০ লাখ টাকার পেঁপে বিক্রির আশা করছি। এছাড়াও আমি পেঁপে চার উৎপাদন করে বিক্রি করে থাকি। এবছর পেঁপে চারার ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। ইতিমধ্যে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে চারার অর্ডার আসতে শুরু করেছে। উঁচু জমিতে পেঁপে চাষ একটি লাভজনক ফসল।

বেকার বসে না থেকে অবসর সময়ে সকলের এটা করা উচিত। এবছর আমার পরামর্শ নিয়ে এলাকায় 'বেশ কিছু যুবক ভালো পেঁপে বাগান করেছে। শুধু মাত্র চাঁদপাশা ইউনিয়ন থেকেই ৫০ লক্ষাধিক টাকার আমি আগ্রহীদের ফ্রী পরামর্শ ও সহযোগীতা করে থাকি। অনেকেই আমার বাড়িতে থেকে পেঁপে চাষ সম্পর্কে ধারনা নিয়ে সফল হয়েছে।

তিনি বলেন, ‘বাগানেই এখন প্রায় ১০ জন লোক নিয়োজিত আছেন। তাদের প্রত্যেককে ৮-১২ হাজার টাকা পারিশ্রমিক দেওয়া হয়। বর্তমান প্রেক্ষাপটে দেশে শিক্ষিত বেকারদের সংখ্যা বেশি। সবাই চাকরির পেছনে হন্য হয়ে ঘুরছে। যদি চাকরির পেছনে না ছুটে উদ্যোক্তা হয়ে কিছু করতে চায় তবে সফলতা আসবে বলে মনে করি। ভবিষ্যতে পেঁপের পাশাপাশি মাল্টা ও ড্রাগন ফলের চাষ করার ইচ্ছা আছে মোস্তফা কামালের।

জানা যায়, একটি পেঁপে গাছা থেকে ৩ থেকে ৫ মন পর্যন্ত পেঁপে বিক্রি করা সম্ভব। বিক্রির উপযোগী পর্যন্ত একটি গাছের পিছনে পর্যায়ক্রমে ৩-৪শত টাকা খরচ হয়। একটু পরিচর্যা করলে একটি পেঁপে গাছ থেকে ৫-৮ হাজার টাকা পর্যন্ত ফল বিক্রি করা সম্ভব।

বাগানে কাজ করা নিয়মিত শ্রমিক হাবিব হাওলাদার বলেন, স্যারের বাগানে নিয়মিত ৯-১০ জন কাজ করি। সকাল া থেকে বিকাল পর্যন্ত কাজ করা হয়। বাগানের ঘাস নিড়ানো থেকে শুরু করে পানি ও সার দেয়াসহ বিভিন্ন পরিচর্চা করাই আমাদের কাজ।

বাবুগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুর রউফ বলেন, পেঁপে একটি লাভজনক ফসল। সবজি ও ফল হিসেবে বাজারে পেঁপের অনেক চাহিদা রয়েছে। বাবুগঞ্জে এবার প্রচুর পেঁপে চাষ হয়েছে। আমরা পেঁপে চাষিদের খোঁজ খবর নিয়ে পরামর্শ দিয়ে থাকি। আমি মনে হয় চাকরির পেছনে না ছুটে যদি কেউ উদ্যোক্তা হন কৃষি অফিস থেকে তাকে সহযোগিতা করা হবে।

google news সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন