

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে কিশোরগঞ্জ-৩ (করিমগঞ্জ–তাড়াইল) আসনে বেড়ে চলছে নির্বাচনী উত্তাপ। ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের ঘোষণা দেওয়ার পর থেকেই মাঠে সরব বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী।
কিশোরগঞ্জ জেলার ১৩টি উপজেলার মধ্যে করিমগঞ্জ ও তাড়াইল উপজেলা নিয়ে গঠিত এই আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন ছয়জন নেতা।
অবশেষে সোমবার দলটি আনুষ্ঠানিকভাবে প্রার্থী ঘোষণা করে। এতে সাবেক শিক্ষামন্ত্রী ও বিশ্ব ব্যাংকের সাবেক কর্মকর্তা ড.এম ওসমান ফারুক মনোনয়ন পান।
অন্যদিকে, শুরু থেকেই একক প্রার্থী হিসেবে মাঠে রয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী - এর অধ্যাপক কর্নেল (অব.) ড. জেহাদ খান।
তিনি একজন খ্যাতনামা হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ও সাবেক সেনা কর্মকর্তা। দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প, স্বাস্থ্যসেবা ও সামাজিক কার্যক্রমের মাধ্যমে জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন।
ডা. জেহাদ খান বলেন,যদি সুস্থ ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট হয়,কিশোরগঞ্জ-৩ আসনে জামায়াত বিপুল ভোটে জয়ী হবে। তাছাড়া আমরা জনগণের হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছি,আমাদের পরিশ্রম বিজয় ছিনিয়ে আনবে।
দুই প্রার্থীই উচ্চশিক্ষিত, সৎ ও জনবান্ধব নেতৃত্বের প্রতীক। বিএনপির প্রার্থী ড. ওসমান ফারুক প্রশাসনিক অভিজ্ঞতায় সমৃদ্ধ, আর জামায়াতের ডা. জেহাদ খান জনসেবায় নিবেদিত চিকিৎসক হিসেবে পরিচিত।
নির্বাচন যতই ঘনিয়ে আসছে, ততই করিমগঞ্জ ও তাড়াইলে বাড়ছে নির্বাচনী আমেজ। পোস্টার, মিছিল-মিটিং ও প্রচারণায় মুখর পুরো এলাকা। ভোটারদের মাঝে উত্তেজনা ও আগ্রহ দুই-ই তুঙ্গে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, কিশোরগঞ্জ-৩ আসনটি এবারের নির্বাচনে সবচেয়ে আলোচিত আসনগুলোর একটি হতে পারে।
একদিকে সাবেক শিক্ষামন্ত্রীর প্রশাসনিক দক্ষতা ও জাতীয় পর্যায়ের পরিচিতি,অন্যদিকে সাবেক সেনা কর্মকর্তা ও জনপ্রিয় চিকিৎসকের মানবসেবামূলক ভাবমূর্তি—দুই প্রার্থীরই শক্ত অবস্থান রয়েছে ভোটারদের মনে। তাই শেষ পর্যন্ত জনগণের রায়ই নির্ধারণ করবে কে জয়ী হবেন এই মর্যাদাপূর্ণ আসনে।
মন্তব্য করুন