

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


পেঁয়াজ উৎপাদনের অন্যতম এলাকা পাবনায় মৌসুমের শেষের দিকে এসে পেঁয়াজের দামের ঝাঁজ লক্ষ্য করা যাচ্ছে। গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে নিত্যপ্রয়োজনীয় এ পণ্যটির কেজিতে দাম বেড়েছে ৪০ টাকা। মাঝে অপ্রত্যাশিত বৃষ্টিতে বেড়ে কিছু সবজির দামও।
বুধবার (৫ নভেম্বর) বিকেলে পাবনার বড়বাজার ও মাসুম বাজার ঘুরে দেখা যায় এসব চিত্র।
বাজার ঘুরে দেখা যায়, গত সপ্তাহে প্রতিকেজি দেশি পেঁয়াজের দাম ছিল ৬০-৭০ টাকা, যা বর্তমানে ১০৫ থেকে ১১০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, দেশে পেঁয়াজ উৎপাদনের সবচেয়ে বড় অংশ উৎপাদন হয় পাবনায়। কয়েক সপ্তাহ ধরে জেলার বিভিন্ন উপজেলায় মুড়িকাটা পেঁয়াজ রোপণ প্রায় শেষের দিকে। আবার পেঁয়াজের মৌসুমও শেষ। ফলে কৃষকের ঘরে থাকা পেঁয়াজের মজুত একেবারেই কমে গেছে। এতে বাজারে সরবরাহ কম থাকায় দাম বাড়তি।
বড় বাজারের পেঁয়াজের দোকানি জনি বলেন, সপ্তাহ খানেক আগে পেঁয়াজের বাজার ঠিকই ছিল। গত ৪-৫ দিন আগে হুট করেই কেজিতে ২০ টাকার বেড়ে ৯০ টাকা হয়। এরপর ৫-১০ টাকা করে বাড়তে বাড়তে আজ ১১০ টাকায় ঠেকেছে। এখন চাষির ঘরে পেঁয়াজ নাই। মুড়িকাটা রোপণ শেষ। দেড় থেকে দুই মাসের মধ্যে নতুন পেঁয়াজ বাজারে আসবে।
তবে শুধু সরবরাহ ঘাটতিতে পেঁয়াজের দাম বাড়ার বিষয়টি মানতে নারাজ ক্রেতারা। তারা বলছেন, মুড়িকাটা পেঁয়াজ লাগানো শুরু হয়েছে ৩-৪ সপ্তাহ আগে। ইতোমধ্যে প্রায় লাগানো শেষ। তাহলে হুট করে তিন থেকে চারদিনের মধ্যে পেঁয়াজের বাজার অস্বাভাবিক বৃদ্ধি স্বাভাবিক বিষয় নয়।
তাদের অভিযোগ, কৃষকের ঘরে পেঁয়াজ আসলেই কমে গেছে। তবে বাধাই বা মজুত ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের হাতে এখনো প্রচুর পেঁয়াজ রয়েছে। তারা প্রতিবছর এই সময়টাতে পেঁয়াজের সংকট দেখিয়ে অতিরিক্ত দাম বাড়িয়ে দেন। বাজারে বিশৃঙ্খলা ঠেকাতে সরকারের সংশ্লিষ্ট মহলের নজরদারি বাড়ানো উচিত বলে দাবি তাদের।
কৃষক রানা মিয়া জানান, কৃষকের ঘরে পর্যাপ্ত পেঁয়াজ মজুদ রয়েছে। পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় মজুদ পেঁয়াজ প্রস্তুতি নিচ্ছেন কৃষকরা। আগামীকাল বৃহস্পতিবার পাবনা জেলার সবথেকে বড় পেঁয়াজের হাট কাশীনাথপুর বেশি দামের আশায় তারা বিক্রি করবেন।
মন্তব্য করুন