মঙ্গলবার
০৪ নভেম্বর ২০২৫, ২০ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
মঙ্গলবার
০৪ নভেম্বর ২০২৫, ২০ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

হবিগঞ্জ-৩ আসনে ধানের শীষের প্রার্থী আলহাজ্ব জি কে গউছ

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০৩ নভেম্বর ২০২৫, ১০:১৩ পিএম
বিএনপি নেতা আলহাজ্ব জি কে গউছ
expand
বিএনপি নেতা আলহাজ্ব জি কে গউছ

হবিগঞ্জ-৩ (হবিগঞ্জ সদর, লাখাই ও শায়েস্তাগঞ্জ) আসনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)’র প্রার্থী হিসেবে ধানের শীষ প্রতীকে মনোনয়ন পেয়েছেন সিলেট বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক, হবিগঞ্জের মাটি ও মানুষের নেতা আলহাজ্ব জি কে গউছ।

সোমবার (৩ নভেম্বর) বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

আলহাজ্ব জি কে গউছের রাজনৈতিক যাত্রা শুরু ১৯৮৪ সালে হবিগঞ্জ বৃন্দাবন সরকারি কলেজ ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হওয়ার মধ্য দিয়ে। এরপর তিনি একই কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি হন এবং ছাত্র রাজনীতিতে নেতৃত্বের প্রতিভা ফুটিয়ে তোলেন।

১৯৮৭ সালে তিনি জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল হবিগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি নির্বাচিত হন এবং পরবর্তীতে টানা পাঁচ বছর ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

পরবর্তী সময়ে যুবদলের রাজনীতিতে যুক্ত হয়ে ১৯৯৪ সালে হবিগঞ্জ পৌর যুবদলের সভাপতি, ১৯৯৫ সালে জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক এবং ১৯৯৬ সালে যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য নির্বাচিত হন।

দৃঢ় নেতৃত্বের মাধ্যমে হবিগঞ্জে যুবদলকে সুসংগঠিত করেন তিনি। এরই ধারাবাহিকতায় জেলা যুবদলের সভাপতি এবং ২০০৩ সালে কেন্দ্রীয় সহ-সমবায় বিষয়ক সম্পাদক নির্বাচিত হন।

২০০৪ সালে বিএনপির তৎকালীন সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব তারেক রহমানের উপস্থিতিতে গোপন ভোটে জি কে গউছ হবিগঞ্জ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। এরপর ২০১১ সালে দ্বিতীয়বারের মতো একই দায়িত্ব পান।

পরবর্তীতে তিনি বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য, সমবায় বিষয়ক সম্পাদক এবং ২০১৯ সালে হবিগঞ্জ জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক নির্বাচিত হন।

২০০৪ সালে প্রথমবার হবিগঞ্জ পৌরসভার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে টানা তিনবার মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তিনি। ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে হবিগঞ্জ-৩ আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে গিয়ে তিনি স্বেচ্ছায় মেয়রের পদ থেকে পদত্যাগ করেন।

দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে একাধিকবার রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হন জি কে গউছ। মোট ২০টি মামলায় আসামি হয়ে তিনি ১৫১৭ দিন কারাভোগ করেন।

তবু কোনো ষড়যন্ত্রই তাকে রাজপথ থেকে সরাতে পারেনি—এখনো তিনি রাজনীতিতে সক্রিয়, দলের পক্ষে অগ্রণী ভূমিকা রেখে চলেছেন।

google news সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন