সোমবার
১০ নভেম্বর ২০২৫, ২৬ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সোমবার
১০ নভেম্বর ২০২৫, ২৬ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বিবিসিকে নিয়ে হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারির ব্যঙ্গাত্মক মন্তব্য 

এনপিবি ডেস্ক
প্রকাশ : ১০ নভেম্বর ২০২৫, ১০:২৯ পিএম
হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি
expand
হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি

বিবিসির মহাপরিচালক টিম ডেভি ও সংবাদ বিভাগের প্রধান ডেবোরা টারনেসের পদত্যাগের ঘটনায় ব্যঙ্গ করে মন্তব্য করেছেন হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লেভিট।

রোববার (৯ নভেম্বর) ট্রাম্পকে নিয়ে নির্মিত একটি বিতর্কিত প্রামাণ্যচিত্র ঘিরে তীব্র সমালোচনার মুখে এই দুই শীর্ষ কর্মকর্তা একযোগে পদত্যাগ করেন। ২০২১ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যাপিটল হিলে সংঘটিত দাঙ্গার ঘটনায় তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ভূমিকা তুলে ধরা হয়েছিল ওই প্রামাণ্যচিত্রে।

ওয়াশিংটনের পক্ষ থেকে আগেই প্রামাণ্যচিত্রটি নিয়ে কড়া সমালোচনা করা হয়। এর পরই পদত্যাগের ঘোষণা দেন টিম ডেভি ও ডেবোরা টারনেস।

পদত্যাগের পরপরই প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লেভিট সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দুটি সংবাদ প্রতিবেদন শেয়ার করে জনপ্রিয় ব্যঙ্গাত্মক ফরম্যাটে ‘shot/chaser’ ক্যাপশন দেন।

প্রথম প্রতিবেদনে (টেলিগ্রাফ) লেখা ছিল, ট্রাম্প বিবিসির সঙ্গে যুদ্ধে যাচ্ছেন। আর দ্বিতীয়টি ছিল বিবিসির নিজস্ব সংবাদ— “বিবিসির মহাপরিচালক টিম ডেভি পদত্যাগ করেছেন।

এই তুলনামূলক পোস্টের মাধ্যমে লেভিট মূলত ইঙ্গিত করেন, ট্রাম্পের সমালোচনায় নামা বিবিসিই এখন নিজেদের অভ্যন্তরীণ সংকটে ভুগছে।

পদত্যাগের সময় টিম ডেভি কোনো নির্দিষ্ট কারণ উল্লেখ না করে শুধু বলেন, “কিছু একটা ভুল হয়েছে।” অন্যদিকে ডেবোরা টারনেস জানান, ট্রাম্পকে নিয়ে প্যানোরামা অনুষ্ঠানের চলমান বিতর্ক এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে, যা বিবিসির সুনাম ক্ষুণ্ণ করছে।

‘প্যানোরামা’ নামের প্রামাণ্যচিত্রটি সম্প্রচারিত হওয়ার পর থেকেই ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ মহল ও রিপাবলিকান নেতাদের তীব্র সমালোচনার মুখে পড়ে বিবিসি। বিষয়টি নিয়ে মার্কিন রাজনৈতিক মহলেও আলোচনা-সমালোচনা চলছিল।

এ ঘটনার পর বিবিসির উচ্চপর্যায়ের নেতৃত্বে পরিবর্তন আসায় সংস্থাটির ভবিষ্যৎ দিকনির্দেশনা নিয়ে নতুন করে জল্পনা শুরু হয়েছে।

সম্প্রতি বিবিসির বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে, তারা ট্রাম্পের বক্তব্যের ভিডিও ফুটেজ বিকৃত করে প্রচার করেছে, যাতে জনসাধারণ বিভ্রান্ত হয়েছে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই ওয়াশিংটনের সমালোচনা বাড়ে। লেভিট আগেই বিবিসিকে ‘বামপন্থী প্রচারণা যন্ত্র’ ও ‘শতভাগ ভুয়া সংবাদমাধ্যম’ বলে অভিহিত করেছিলেন।

বিবিসি ব্রিটেনে বাধ্যতামূলক বার্ষিক লাইসেন্স ফি থেকে অর্থায়িত হয়। পাশাপাশি যুক্তরাজ্য সরকার তাদের ওয়ার্ল্ড সার্ভিস বাজেটের এক-তৃতীয়াংশ সরাসরি বহন করে।

যুক্তরাজ্যের সংস্কৃতি, গণমাধ্যম ও ক্রীড়া বিষয়ক মন্ত্রী লিসা ন্যান্ডি টিম ডেভিকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, জনগণের জন্য সম্প্রচারে তার অবদান অনন্য। বিবিসিকে এখন নতুন যুগে নিজেদের মানিয়ে নিতে হবে এবং জাতীয় জীবনের কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে ভূমিকা বজায় রাখতে হবে।

সূত্র: আরটি

google news সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন