

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি আবারো বড় ধরনের আলোচনায়। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ভাষণ সম্পাদনা করে বিভ্রান্তিকরভাবে প্রচার করার অভিযোগে পদত্যাগ করেছেন প্রতিষ্ঠানটির মহাপরিচালক টিম ডেভি ও বার্তাপ্রধান ডেবোরা টার্নেস।
গত পাঁচ বছর ধরে দায়িত্বে থাকা টিম ডেভি একাধিক পক্ষপাতের অভিযোগে আগে থেকেই চাপে ছিলেন। অবশেষে এই ঘটনার পর তিনি পদ ছাড়ার ঘোষণা দেন।
অন্যদিকে তিন বছর ধরে বিবিসির বার্তা ও সমসাময়িক বিষয় বিভাগের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন ডেবোরা টার্নেস।
টেলিগ্রাফ সোমবার বিবিসির একটি অভ্যন্তরীণ নথি প্রকাশ করে, যেখানে বলা হয়- ‘প্যানোরামা’ নামের এক অনুসন্ধানী অনুষ্ঠানে ট্রাম্পের ২০২১ সালের জানুয়ারিতে দেওয়া ভাষণ থেকে দুটি আলাদা অংশ কেটে এমনভাবে একত্র করা হয়, যাতে মনে হয় তিনি ক্যাপিটল হিলে হামলায় সরাসরি উসকানি দিয়েছিলেন।
যুক্তরাজ্যের রাজনৈতিক মহল আশা করছে, এ পদত্যাগ বিবিসির ভেতরে ইতিবাচক পরিবর্তনের পথ খুলে দেবে। অপরদিকে ডোনাল্ড ট্রাম্প এই সিদ্ধান্তকে “ন্যায়বিচারের প্রতিফলন” হিসেবে অভিহিত করেছেন।
রবিবার সন্ধ্যায় দেওয়া এক বিবৃতিতে টিম ডেভি বলেন, “বিবিসি, অন্যান্য সরকারি প্রতিষ্ঠানের মতোই নিখুঁত নয়। আমরা স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার মধ্য দিয়ে চলি। যদিও বর্তমান বিতর্কই আমার একমাত্র পদত্যাগের কারণ নয়, তবে এর প্রভাব অবশ্যই রয়েছে। মহাপরিচালক হিসেবে প্রতিষ্ঠানের ভুলের দায় আমি নিচ্ছি।”
ডেবোরা টার্নেস এক বিবৃতিতে বলেন, প্যানোরামা সংক্রান্ত বিতর্ক এমন অবস্থায় পৌঁছেছে, যা বিবিসির ভাবমূর্তি ক্ষতিগ্রস্ত করছে। নেতৃত্বের জায়গায় থেকে দায়িত্ব আমারই। কিছু ভুল হয়েছে, তবে বিবিসি নিউজকে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে পক্ষপাতদুষ্ট বলা সঠিক নয়।
টেলিগ্রাফ প্রকাশিত ওই নথিতে আরও দাবি করা হয়, ইসরায়েল-গাজা সংঘাত সংক্রান্ত প্রতিবেদনে বিবিসি আরবি বিভাগেও ‘পদ্ধতিগত পক্ষপাতের সমস্যা’ রয়েছে, যা যথাযথভাবে সমাধান করা হয়নি।
উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারি ওয়াশিংটন ডিসিতে সমর্থকদের উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে ট্রাম্প বলেছিলেন, আমরা ক্যাপিটল হিলে যাব এবং আমাদের সাহসী সিনেটর ও কংগ্রেস সদস্যদের অনুপ্রাণিত করব।
কিন্তু বিবিসির ডকুমেন্টারিতে সেটি সম্পাদনা করে দেখানো হয়- আমরা ক্যাপিটল হিলে যাব… আমি তোমাদের সঙ্গে থাকব। আমরা লড়ব, ভয়ংকরভাবে লড়ব।
এই দুটি অংশ আসলে তার বক্তৃতার মধ্যে প্রায় ৫০ মিনিটের ব্যবধানে ছিল। ফলে সম্পাদিত সংস্করণে বক্তব্যের অর্থ সম্পূর্ণ বদলে যায় বলে অভিযোগ ওঠে।
ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসার পর বিবিসির বিরুদ্ধে তীব্র সমালোচনা শুরু হয়। এমনকি হোয়াইট হাউস থেকেও প্রতিক্রিয়া জানানো হয়, যেখানে বিবিসিকে ‘সম্পূর্ণ ভুয়া সংবাদমাধ্যম’ বলে অভিহিত করা হয়।
মন্তব্য করুন
