

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নতুন একটি প্রোক্লেমেশন জারি করে এইচ-১বি ভিসার ফি বছরে ১ লাখ ডলারে উন্নীত করেছেন।
এই নির্দেশনার ফলে বিদেশি দক্ষ কর্মী নিয়োগে সবচেয়ে বেশি নির্ভরশীল যুক্তরাষ্ট্রের প্রযুক্তি খাতের উপর প্রভাব পড়তে পারে, বিশেষ করে ভারত ও চীনের নাগরিকদের ক্ষেত্রে।
এইচ-১বি ভিসা মূলত উচ্চ দক্ষতাসম্পন্ন বিদেশি কর্মী আনার জন্য দেওয়া হয়। নতুন নিয়ম অনুযায়ী, এখন থেকে প্রতিটি ভিসার জন্য কোম্পানিগুলোকে প্রতি বছর ১ লাখ ডলার দিতে হবে।
মার্কিন বাণিজ্য সচিব হাওয়ার্ড লুটনিক বলেছেন, “এখন থেকে শুধুমাত্র খুবই দক্ষ এবং মার্কিন কর্মীদের দ্বারা প্রতিস্থাপনযোগ্য নয় এমন কর্মীকেই আনা যাবে।”
ট্রাম্প প্রশাসন উল্লেখ করেছে, কিছু কোম্পানি এই ভিসা ব্যবহার করে মার্কিন কর্মীদের মজুরি কমিয়ে দিচ্ছিল। ২০০০ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে STEM খাতে বিদেশি কর্মীর সংখ্যা দ্বিগুণ হলেও সামগ্রিক STEM কর্মসংস্থান বেড়েছে মাত্র ৪৪ শতাংশ।
বিশ্লেষকরা সতর্ক করে বলছেন, এই ফি চাপিয়ে দিতে গেলে ছোট প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ও স্টার্টআপগুলো বিপর্যয়ে পড়তে পারে এবং কিছু উচ্চমূল্যের কাজ বিদেশে সরিয়ে দিতে হতে পারে।
সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত বছর অনুমোদিত এইচ-১বি ভিসার মধ্যে ভারতের অংশ ছিল ৭১ শতাংশ এবং চীনের ১১ দশমিক ৭ শতাংশ। ২০২৫ সালের প্রথমার্ধে অ্যামাজন, মাইক্রোসফট ও মেটা সহ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান হাজার হাজার ভিসা অনুমোদন পেয়েছে।
এছাড়া, ট্রাম্প প্রশাসন একই দিনে ‘গোল্ড কার্ড’ চালু করেছে। এর আওতায় যে কেউ ১০ লাখ ডলার পরিশোধ করে যুক্তরাষ্ট্রের স্থায়ী নাগরিকত্ব পেতে পারবে।
মন্তব্য করুন
