

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


ইহুদি ধর্মাবলম্বীদের সুক্কোট উৎসব পালনের সময় মুসলিমদের জন্য পবিত্র ইব্রাহিম মসজিদে প্রবেশ বন্ধ করে দিয়েছে দখলদার ইসরায়েলি বাহিনী।
বুধবার (৮ অক্টোবর) সকালে ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরের হেবরনে অবস্থিত এই ঐতিহাসিক মসজিদে যাবার সব প্রবেশপথ বন্ধ করে দেয় সেনারা।
একই দিনে, ইসরায়েলের কট্টরপন্থী জাতীয় নিরাপত্তা মন্ত্রী ইতামার বেন-গভিরের নেতৃত্বে একদল বসতি স্থাপনকারী দখলকৃত পূর্ব জেরুজালেমের আল-আকসা মসজিদ প্রাঙ্গণে প্রবেশ করে। বিষয়টি মধ্যপ্রাচ্যে নতুন করে উত্তেজনা সৃষ্টি করেছে। খবর দ্য নিউ আরব ও স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের।
ফিলিস্তিনি বার্তা সংস্থা ওয়াফা জানিয়েছে, ইব্রাহিম মসজিদ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত মুসলমানদের জন্য বন্ধ থাকবে।
হেবরনের ধর্মবিষয়ক দপ্তরের পরিচালক আমজাদ কারাজেহ বলেছেন, মসজিদটি বন্ধ করে ইসরায়েল স্পষ্টতই ধর্মীয় স্বাধীনতা ও পবিত্রতার লঙ্ঘন করেছে। তিনি একে ‘উসকানিমূলক ও অবৈধ পদক্ষেপ’ বলে আখ্যা দেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ইসরায়েলি বাহিনী মসজিদের আশপাশের সব চেকপয়েন্ট ও রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছে, ফলে সাধারণ মুসল্লিরা নামাজ আদায় করতে পারছেন না।
ইব্রাহিম মসজিদ ইসলাম ধর্মে বিশেষ মর্যাদাপূর্ণ স্থান। বিশ্বাস করা হয়, এখানে হজরত ইব্রাহিম (আ.), হজরত ইসহাক (আ.), হজরত ইয়াকুব (আ.), হজরত ইউসুফ (আ.) এবং তাঁদের স্ত্রীগণ সমাহিত আছেন।
এদিকে, নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে ইসরায়েলি মন্ত্রী বেন-গভির বুধবার আল-আকসা মসজিদ প্রাঙ্গণে প্রবেশ করে বলেন, এখন থেকে আল-আকসার মালিক ইসরায়েল।
তার এই বক্তব্যে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে সৌদি আরব। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে পবিত্র স্থানটির স্থিতাবস্থা ভাঙার প্রচেষ্টার নিন্দা জানায় এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে হস্তক্ষেপের আহ্বান জানায়।
ফিলিস্তিনি গণমাধ্যমের তথ্যমতে, ইহুদি উৎসবকে কেন্দ্র করে ইসরায়েলি বাহিনী হেবরনের জাবের, সালাইমেহ, ঘাইত এবং ওয়াদি আল-হুসাইন এলাকায় কারফিউ জারি করেছে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের চলাচলে বাধা দেওয়া হচ্ছে এবং শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ে যেতে নিষেধ করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন