

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


পাকিস্তানের ইসলামাবাদ পুলিশে শোকের ছায়া নেমেছে। আই-৯ বিভাগের পুলিশ সুপার (এসপি) আদিল আকবর বৃহস্পতিবার সংবিধান অ্যাভিনিউতে তার সরকারি গাড়ির ভেতরে মৃত অবস্থায় পাওয়া গেছেন।
৩৫ বছর বয়সী এই কর্মকর্তার মাথায় গুলির আঘাত ছিল, যা তার মৃত্যুর কারণ বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
প্রশাসন এখনও নিশ্চিত নয় এটি আত্মহত্যা, দুর্ঘটনা, নাকি পরিকল্পিত হত্যা। জিও নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পিমস হাসপাতালে সম্পন্ন ময়নাতদন্তে দেখা গেছে, গুলি আদিলের কপাল ভেদ করে মাথার পেছনের দিকে বেরিয়েছে, যা গুরুতর মস্তিষ্ক ক্ষতির কারণ হয়ে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু ঘটিয়েছে।
তার লাশ পুলিশ লাইন্সে জানাজা শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। আদিলের মৃত্যু এক কন্যাশিশুকে পরিবারে রেখে গেছে।
ইসলামাবাদের পুলিশ প্রধান (আইজিপি) আলি নাসির রিজভি জানিয়েছেন, এসপি আদিল অফিস যাওয়ার পথে তার সরকারি গাড়ির ভেতরে গুলিবিদ্ধ হন।
তিনি স্পষ্টভাবে বলেছেন, এখনই আত্মহত্যা বা দুর্ঘটনা বলা যাবে না; তদন্ত চলছে।
তদন্তের জন্য গঠিত হয়েছে তিন সদস্যের উচ্চপর্যায়ের কমিটি। নেতৃত্বে রয়েছেন সেফ সিটি ডিরেক্টর জেনারেল হারুন জোইয়া। অন্য সদস্যরা হলেন ডিআইজি (অপারেশনস) জাওয়াদ তারিক এবং ডিআইজি (সিকিউরিটি) আতীক তাহির।
প্রাথমিকভাবে এসপি আদিলের ড্রাইভার এবং তার অপারেটরকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। ঘটনার সেফ সিটি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে এবং ফরেনসিক বিশ্লেষণ শুরু হয়েছে। আদিলের মোবাইল ফোনও ফরেনসিক বিশ্লেষণের জন্য পাঠানো হয়েছে।
ঘটনার পর কিছু গণমাধ্যমে আত্মহত্যার খবর প্রকাশিত হলেও, পুলিশ এখনো তা নিশ্চিত করেনি। প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী, আদিল নাকি তার স্টাফের কাছ থেকে একটি পিস্তল নিয়ে একটি প্রাইভেট হোটেলের কাছে নিজ বুকে গুলি করেন। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে পলিক্লিনিক হাসপাতালে নেওয়া হলে তিনি মারা যান।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ৪৬তম কমনের এই কর্মকর্তা ইসলামাবাদ পুলিশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেছেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তালাল চৌধুরী ঘটনাস্থলে পিমস হাসপাতালে পৌঁছে বিস্তারিত তদন্তের আশ্বাস দেন। আইজিপি রিজভি জানিয়েছেন, সেফ সিটি ফুটেজে এখনও কোনো বাইরের প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তিনি বলেন, “ঘটনাটি গাড়ির ভেতরেই ঘটেছে। আত্মহত্যা, দুর্ঘটনা বা অপরাধমূলক দিক—সবগুলোই তদন্তের আওতায় আছে।”
পরে পোস্টমর্টেমের পর পুলিশ লাইনসে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। আদিল আকবরের লাশ শেষপর্যন্ত তার নিজ জেলা কামোকে নিয়ে যাওয়া হয় দাফনের জন্য।
মন্তব্য করুন
