

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


পাকিস্তান শনিবার রাতভর সংঘর্ষের পর আফগানিস্তানের সঙ্গে তার সীমান্ত ক্রসিং বন্ধ করে দিয়েছে। কারণ গত কয়েকদিন ধরে উত্তেজনা এমন পর্যায়ে পৌঁছে যে যুদ্ধাবস্থা।
অনেক বিশ্লেষক বলছেন দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধ লেগে যেতে পারে।
স্থানীয় সময় শনিবার রাতেই আফগান সেনারা পাকিস্তানের সেনাদের লক্ষ্য করে হামলা চালায়। আফগান পক্ষ জানায়, কাবুলে পাকিস্তানের হামলার জবাব হিসেবে তারা এ পদক্ষেপ নিয়েছে।
ঘটনার পর রোববার সকালে তালেবান সরকারের মুখপাত্র জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ পাকিস্তানের ৫৮ সেনা নিহতের দাবি করেন।
পাশাপাশি পাকিস্তানের ২৫টি সীমান্ত পোস্ট দখলের দাবিও তিনি উত্থাপন করেছেন।
এরপর ইসলামাবাদ গুরুত্বপূর্ণ সীমান্ত ক্রসিং বন্ধের ঘোষণা দেয়। পাকিস্তান দাবি করেছে, আফগানিস্তানের ‘আক্রমণের’ যথাযথ জবাব দেওয়া হয়েছে এবং ‘বিনা উস্কানির’ হামলার জবাবে তারা ভারী গোলাবর্ষণ করেছে।
রয়টার্সকে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, আফগানিস্তানের সঙ্গে প্রধান দুটি সীমান্ত ক্রসিং—তোরখাম ও চামান—রোববার সকালেই বন্ধ করা হয়। এছাড়া খারালচি, আঙ্গুর আড্ডা ও গুলাম খানের মতো ছোট সীমান্তও বন্ধ রাখা হয়েছে। আফগানিস্তান এখনো এই বিষয়ে মন্তব্য করেনি।
তবে দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, শনিবার মধ্যরাতে তাদের অপারেশন শেষ হয়েছে।
স্থলবেষ্টিত আফগানিস্তানের সঙ্গে পাকিস্তানের ২,৬০০ কিলোমিটার সীমান্ত রয়েছে।
ইসলামাবাদ অভিযোগ করছে, তাদের খাইবার পাখতুনখাওয়া প্রদেশের সীমান্ত এলাকা থেকে সন্ত্রাসীদের সহায়তা পাচ্ছে আফগানিস্তান, যা কাবুল সবসময় প্রত্যাখ্যান করেছে।
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার রাতে পাকিস্তান আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে বিমান হামলা চালায়।
ওই হামলায় তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তানের (টিটিপি) প্রধান নেতাকে লক্ষ্য করা হয়েছিল, যদিও তিনি নিহত হয়েছেন কি না তা নিশ্চিত নয়। টিটিপি পাকিস্তানের বর্তমান সরকারকে উৎখাত করে কট্টর ইসলামি শাসন প্রতিষ্ঠা করতে চায় এবং আফগান তালেবানের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। সূত্র: রয়টার্স, ইন্ডিপেনডেন্ট
মন্তব্য করুন
