

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত আজাদ জম্মু-কাশ্মিরে চার দিন ধরে চলা সহিংস বিক্ষোভে অন্তত আটজন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে তিন পুলিশ সদস্য ও পাঁচজন সাধারণ মানুষ রয়েছেন। পরিস্থিতি সামাল দিতে প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ জ্যেষ্ঠ নেতাদের নিয়ে একটি তদন্ত ও সমাধান কমিটি গঠন করেছেন।
গত সোমবার রাজধানী মুজাফফরাবাদে লকডাউন কর্মসূচির ডাক দেয় স্থানীয় রাজনৈতিক সংগঠন জম্মু কাশ্মির জয়েন্ট আওয়ামী অ্যাকশন কমিটি (জেএজেএএসি)। তাদের ৩৮ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে-শাসকগোষ্ঠীর সুযোগ-সুবিধা বাতিল, বিধানসভায় ভারতের অভিবাসীদের জন্য সংরক্ষিত আসন বাতিল এবং জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের রেয়ালটি প্রদান।
রয়টার্স জানিয়েছে, আশপাশের বিভিন্ন শহর থেকে হাজারো মানুষ মুজাফফরাবাদে এসে যোগ দেন এই কর্মসূচিতে। কিন্তু রবিবার দুপুর থেকে ওই অঞ্চলের ইন্টারনেট ও টেলিফোন সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয় কর্তৃপক্ষ।
স্থানীয় গণমাধ্যম ডন জানায়, সোমবার নীলম ব্রিজ এলাকায় আওয়ামী অ্যাকশন কমিটির সমাবেশে হামলা চালানো হলে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শান্তি মিছিলে অংশ নেওয়া সরকারপন্থি মুসলিম কনফারেন্সের কর্মীরা গুলি চালালে মোহাম্মদ সুধির নামের এক ব্যবসায়ী নিহত হন। এরপর থেকে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে পুরো অঞ্চলে।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে দাঙ্গা-পুলিশ বুধবারও বিক্ষোভকারীদের লক্ষ্য করে টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ করে। এতে শহরজুড়ে অচলাবস্থা দেখা দেয়। ব্যবসা-বাণিজ্য, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও পরিবহন বন্ধ রয়েছে। সরকারি অফিস ও ব্যাংক খোলা থাকলেও কার্যত জনশূন্য ছিল।
প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ এক বিবৃতিতে বলেন, কাশ্মিরি ভাইদের সমস্যার সমাধানে সরকার সবসময় প্রস্তুত। আলোচনার মাধ্যমেই সমাধান সম্ভব।
কমিটির সদস্য দেশটির পরিকল্পনামন্ত্রী আহসান ইকবাল জানান, আমরা প্রত্যাশা করছি আলোচনার পথেই উত্তেজনা কমিয়ে সমাধানে পৌঁছানো সম্ভব হবে।
প্রসঙ্গত, গত বছরও একই ধরনের বিক্ষোভে অন্তত চারজন নিহত হয়েছিলেন। পরবর্তীতে সরকার অধিকাংশ দাবি মেনে নিয়ে খাদ্য ও বিদ্যুতের ভর্তুকি।
সূত্র: রয়টার্স
 সর্বশেষ খবর পেতে  Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
    
    
    সর্বশেষ খবর পেতে  Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
    
মন্তব্য করুন
 
 
                    