

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


পাকিস্তান ও সৌদি আরবের মধ্যে স্বাক্ষরিত প্রতিরক্ষা চুক্তিতে তেহরানকেও যুক্ত হওয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনির জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা।
মেজর জেনারেল ইয়াহিয়া রাহিম সাফাভি বলেন, ‘ইরান, সৌদি আরব, পাকিস্তান ও ইরাক একটি সম্মিলিত নিরাপত্তা চুক্তি করতে পারে।’
তেহরান টাইমসের খবর অনুসারে, ইরানি বিপ্লবী গার্ডের (আইআরজি) জেনারেল সাফাভি যে চুক্তির কথা উল্লেখ করেছেন, তা হলো ইসলামাবাদ ও রিয়াদের মধ্যে স্বাক্ষরিত ‘স্ট্র্যাটেজিক মিউচুয়াল ডিফেন্স অ্যাগ্রিমেন্ট (এসএমডিএ)।
দুই দেশের ওপর যে কোনো আক্রমণকে উভয়ের বিরুদ্ধে আক্রমণ হিসেবে গণ্য করবে এই চুক্তি।
সাফাভি এক টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘আমরা এই চুক্তিকে ইতিবাচকভাবে দেখি। পাকিস্তান জানিয়েছে, অন্য দেশও প্রতিরক্ষা চুক্তিতে যোগ দিতে পারবে।
আমি সুপারিশ করছি, ইরানও এতে অংশগ্রহণ করুক। ইরান, সৌদি আরব, পাকিস্তান ও ইরাক একসঙ্গে একটি যৌথ চুক্তির দিকে এগোতে পারে।
যদিও সৌদি আরব ও পাকিস্তান যুক্তরাষ্ট্রের অনুমতি ছাড়া এ ধরনের চুক্তি করবে না, তবু আমাদের একটি আঞ্চলিক শক্তি হিসেবে প্রস্তুতি ঘোষণা করা উচিত। এটা আমাদের সামরিক কূটনীতি ও পররাষ্ট্রনীতির অংশ।’
সম্প্রতি সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান এবং পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফের মধ্যে স্বাক্ষরিত হয় এই চুক্তি।
কাতারে ইসরায়েলের হামলার পর আঞ্চলিক কূটনৈতিক হিসাব পরিবর্তনের ঠিক এক সপ্তাহ পর এ ঘটনা ঘটে। চুক্তি নিয়ে কিছু আন্তর্জাতিক মিডিয়া আলোচনা করে যে, পাকিস্তানের পারমাণবিক কর্মসূচিও এতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। তবে পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ জোর দিয়ে বলেন, চুক্তির আওতায় সৌদি আরবের কাছে কোনো পারমাণবিক অস্ত্র বিক্রি করবে না পাকিস্তান।
বিশ্লেষকরা চুক্তিটিকে ঐতিহাসিক ও অপ্রত্যাশিত উন্নয়ন হিসেবে উল্লেখ করেছেন। ফলে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে আনুষ্ঠানিক নিরাপত্তা অঙ্গীকারে উন্নীত করে।
 সর্বশেষ খবর পেতে  Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
    
    
    সর্বশেষ খবর পেতে  Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
    
মন্তব্য করুন
 
 
                    