

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


পৃথিবীর দক্ষিণতম মহাসাগর, কুমেরু সাগর বা অ্যান্টার্কটিক মহাসাগর, এখনও অনেক রহস্যের আস্তানা। ইংরেজিতে এটিকে বলা হয় ‘Sea of Darkness’, কারণ এখানে বহু অজানা বিষয় ও গভীরতা আছে। বিশ্বজুড়ে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব এই সাগরেও পড়ছে।
সম্প্রতি একদল আন্তর্জাতিক গবেষক সাগরের তলদেশ থেকে কাদা সংগ্রহ করেছেন। তাদের লক্ষ্য কাদা বিশ্লেষণ করে মহাসাগরের ইতিহাস ও পরিবেশগত প্রভাব বোঝা। বিশেষ করে, শতাব্দীর পুরোনো তিমি শিকার কিভাবে অ্যান্টার্কটিকা এবং বিশ্বজুড়ে সমুদ্রজীবনকে প্রভাবিত করেছে, তা খুঁজে বের করা।
গবেষকরা অ্যান্টার্কটিকা উপদ্বীপের আশেপাশের কয়েকটি স্থানে বিশেষ কোর ড্রিল মেশিন ব্যবহার করে সমুদ্রতলের কাদা সংগ্রহ করেছেন। এই ৪০টির বেশি কাদা নমুনা বিশ্লেষণের জন্য বিজ্ঞানীরা ভাগ করে নেবেন। গবেষণার লক্ষ্য হলো সমুদ্র এবং জলবায়ুর সম্পর্ক বোঝা এবং কুমেরু মহাসাগরের পরিবেশগত ইতিহাস উন্মোচন করা।
বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, কুমেরু মহাসাগর অ্যান্টার্কটিকার সমৃদ্ধ সামুদ্রিক জীবনের কেন্দ্রে। ১৯৮০-এর দশকের আগে এটি বৈশ্বিক তিমি শিকারের প্রধান কেন্দ্র ছিল। তোলা কাদা নমুনা উপযুক্ত তাপমাত্রায় হিমায়িত করা হয়েছে, যাতে জেনেটিক উপাদান সংরক্ষণ করা যায়।
গবেষণার নেতৃত্ব দিচ্ছেন সৌদি আরবের কিং আবদুল্লাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. কার্লোস প্রেক্লার। তিনি বলেন, “তিমির শরীরে প্রচুর কার্বন থাকে, কারণ তারা বিশাল প্রাণী। এই তথ্য বিশ্লেষণ করলে আমরা জানব, প্রাচীন তিমি শিকার কীভাবে পরিবেশ ও জলবায়ুকে প্রভাবিত করেছে।”
মন্তব্য করুন