

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


প্রজনন মৌসুমের নিষেধাজ্ঞা শেষ হলেও বরিশালের বাজারে এখনও দেখা মিলছে না বড় আকারের ইলিশের। আহরিত মাছের পরিমাণও গত কয়েক দিনের তুলনায় কমে গেছে। ফলে বাজারে ইলিশের দাম বেড়ে গেছে হু-হু করে।
শনিবার সকালে বরিশাল নগরের পোর্ট রোডস্থ বৃহত্তম বেসরকারি মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র ঘুরে দেখা গেছে বাজারে এক কেজি বা তার বেশি ওজনের ইলিশের সরবরাহ প্রায় নেই বললেই চলে। যে অল্প কিছু বড় ইলিশ পাওয়া যাচ্ছে, তার দাম আকাশচুম্বী।
বিক্রেতারা জানান, এক কেজি ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ২ হাজার ৫০০ থেকে ২ হাজার ৮০০ টাকায়। আর দেড় কেজি পর্যন্ত ওজনের ইলিশের দাম ৩ হাজার থেকে সাড়ে ৩ হাজার টাকার মধ্যে। তবে পাইকারি বাজারে দেড় কেজি ওজনের ইলিশ একেবারেই নেই।
অন্যদিকে, কেজিতে তিন থেকে চারটি মাছ হয় এমন সাইজের ইলিশে বাজার ছিল তুলনামূলক সরগরম। যেখানে তিনটি মিলে এক কেজি হয়, সেসব ইলিশ বিক্রি হয়েছে ৯০০ টাকায়; আর চারটি মিলে এক কেজি হয়, এমন ইলিশ বিক্রি হয়েছে ৬৫০ থেকে ৭০০ টাকায়।
যদিও বাজারে কিছু ছোট ইলিশও দেখা গেছে, তবে ব্যবসায়ীদের দাবি এগুলো জাটকা নয়, বরং ডিম ছাড়ার পর স্বাভাবিকভাবেই ছোট দেখাচ্ছে।
পোর্ট রোড মৎস্য আড়তের ব্যবসায়ী আসলাম হোসেন বলেন, “নিষেধাজ্ঞা শেষ হওয়ার পর প্রথম দুই দিন ইলিশের আমদানি ভালো ছিল। কিন্তু শুক্রবার বাজারে মাছ কম এসেছে, তাই দাম বেড়েছে। আমদানি বাড়লে আবার দাম কিছুটা কমবে বলে আশা করছি।”
এক ক্রেতা শহিদুল ইসলাম বলেন, “নিষেধাজ্ঞার পর প্রথমে বাজারে ছিল পুরনো (নরম) মাছ। এখন তাজা মাছ আসছে, কিন্তু পরিমাণে কম এবং বড় আকারের একদমই নেই। বড় ইলিশ কিনতে গেলে ১০–১২টা মাছেই ২৮ হাজার টাকা লেগে যায়, তাও দেড় কেজির একটি ইলিশও পাইনি।
পাইকারি ব্যবসায়ী জালাল উদ্দিন বলেন, বর্তমানে নদীতে বড় ইলিশ ধরা পড়ছে না; কেজিতে চারটি হয় এমন সাইজের মাছই বেশি। ফলে বাজারে বড় ইলিশের সংকট দেখা দিয়েছে।
তিনি আরও জানান,“এখন বিভিন্ন নদীর তীরে ছোট ছোট মোকাম গড়ে উঠেছে, যেখান থেকে সরাসরি ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায় ইলিশ পাঠানো হচ্ছে। যেখানে দাম বেশি, ব্যবসায়ীরা সেখানেই মাছ দিচ্ছেন। বর্তমানে বেশি মাছ যাচ্ছে চাঁদপুর ও ঢাকায়। সময়ের সঙ্গে বরিশালেও সরবরাহ বাড়বে বলে আশা করছি।
মন্তব্য করুন
