

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান বলেছেন, তুর্কিয়েকে বাদ দিয়ে মধ্যপ্রাচ্য ও আশপাশের অঞ্চলে স্থায়ী রাজনৈতিক বা নিরাপত্তা কাঠামো গড়ে তোলা সম্ভব নয়। তাঁর মতে, সিরিয়া ও গাজার সংঘাত থেকে শুরু করে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ পর্যন্ত-প্রতিটি আঞ্চলিক সংকটে তুর্কিয়ের সম্পৃক্ততা অত্যন্ত জরুরি।
রোববার (২৬ অক্টোবর) তুরস্কভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ইয়েনি শাফাক এক প্রতিবেদনে তাঁর এ বক্তব্য তুলে ধরে।
শনিবার ইস্তাম্বুল কংগ্রেস সেন্টারে অনুষ্ঠিত “তুর্কিয়ে শতাব্দীর বৈঠক”-এর সমাপনী অধিবেশনে ভাষণ দেন প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান।
তিনি বলেন, তুর্কিয়ে এখন এমন এক রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে, যা তার ভূরাজনৈতিক অবস্থান, মানবিক কূটনীতি ও মধ্যস্থতাকারী ভূমিকার কারণে বৈশ্বিক কূটনীতিতে সম্মানজনক অবস্থান তৈরি করেছে।
এরদোয়ান জানান, তুর্কিয়ে কেবল নিজেদের নিরাপত্তা নয়, বরং পুরো অঞ্চলে শান্তি, স্থিতিশীলতা ও উন্নয়ন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কাজ করছে।
তুর্কি প্রেসিডেন্ট বলেন, তাঁর সরকার এমন একটি ভবিষ্যৎ নির্মাণে বিশ্বাসী, যেখানে “কোনও প্রজন্ম অবহেলিত থাকবে না, কোনও মায়ের চোখে জল থাকবে না, এবং তুর্কিয়ের ভূখণ্ড শান্তি ও উন্নতির প্রতীক হয়ে উঠবে।”
এই দৃষ্টিভঙ্গি কেবল জাতীয় নিরাপত্তাকেই নয়, বরং বৃহত্তর আঞ্চলিক স্থিতিশীলতাকেও কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
এরদোয়ান আরও বলেন, তুর্কিয়ে প্রথমে দেশের অভ্যন্তরে সন্ত্রাসবাদ নির্মূল করবে, এরপর পুরো অঞ্চলে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেবে-যাতে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য এক নিরাপদ ও মর্যাদাপূর্ণ সমাজ গড়ে ওঠে।
তুরস্কের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক নিয়ে এরদোয়ান জানান, আঙ্কারা তার প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলো এবং বৈশ্বিক অংশীদারদের সঙ্গে সহযোগিতা, স্থিতিশীলতা ও শান্তির নীতিতে অটল থাকবে।
“তুর্কিয়ে এখন কেবল একটি দেশ নয়-এটি এক আদর্শ, যা শান্তি, সংহতি ও আঞ্চলিক ভারসাম্যের প্রতীক হয়ে উঠছে,” যোগ করেন প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান।
মন্তব্য করুন
