

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


ফিলিস্তিনি সশস্ত্র সংগঠন হামাস যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রস্তাবিত যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে ইতিবাচক সাড়া জানিয়েছে। তবে সেই প্রতিক্রিয়ার পরও কোনো প্রকার পাত্তা না দিয়ে গাজায় বিমান হামলা বন্ধ করেনি ইসরায়েল।
শনিবার (৪ অক্টোবর) মধ্যরাতে ইসরায়েলি বাহিনী গাজা উপত্যকায় তীব্র বোমাবর্ষণ ও গোলাবর্ষণ চালায়। স্থানীয় সময় রাতে আকাশজুড়ে বিস্ফোরণের শব্দে পুরো শহর কেঁপে ওঠে।
গাজার সিভিল ডিফেন্সের মুখপাত্র মাহমুদ বাসিল বার্তাসংস্থা এএফপিকে জানান, গত রাতটি ছিল অত্যন্ত সহিংস। ইসরায়েলি সেনারা গাজা সিটি ও আশপাশের এলাকায় একাধিক বিমান হামলা চালিয়েছে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প হামলা বন্ধের আহ্বান জানালেও তারা তা অমান্য করেছে।
তিনি আরও জানান, ওই রাতে অন্তত ২০টি আবাসিক ভবন সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গেছে।
এদিকে হামাস ট্রাম্পের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে সম্মতি জানানো এবং ট্রাম্প ইসরায়েলকে আক্রমণ বন্ধের নির্দেশ দেওয়ার পর, গাজার অনেক মানুষ নিজেদের ঘরে ফেরার চেষ্টা শুরু করেছিল। কিন্তু কিছুক্ষণের মধ্যেই ইসরায়েলি সেনারা নতুন সতর্কতা জারি করে জানায়, গাজা সিটি এখনো বিপজ্জনক যুদ্ধ এলাকা, সেখানে ফেরা প্রাণঘাতী হতে পারে।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর এক বিবৃতিতে বলা হয়, আমাদের সৈন্যরা গাজা সিটিতে এখনো অভিযান চালাচ্ছে। তাই নাগরিকদের নিরাপত্তার জন্য গাজার উত্তর, দক্ষিণ এবং সক্রিয় সামরিক অঞ্চলে না যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
অন্যদিকে, ট্রাম্পের প্রস্তাবে হামাস শর্তসাপেক্ষে সম্মতি দেওয়ার পর স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে যুদ্ধবিরতির আশা জেগেছে। তবে এই যুদ্ধবিরতি স্থায়ী হবে কি না তা স্পষ্ট নয়। কারণ প্রস্তাব অনুযায়ী ইসরায়েলি সেনাদের তাৎক্ষণিক প্রত্যাহারের কথা বলা হয়নি, বরং হামাসকে অস্ত্র সমর্পণের শর্ত দেওয়া হয়েছে।
মন্তব্য করুন

