

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


গাজায় ত্রাণ নিয়ে যাওয়া আন্তর্জাতিক নৌবহর ‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা’ আটকে দিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। এই অভিযানে সুইডিশ জলবায়ু আন্দোলনকর্মী গ্রেটা থুনবার্গসহ বিভিন্ন দেশের অ্যাক্টিভিস্টদের আটক করা হয়েছে।
আটক ব্যক্তিদের ইসরায়েলের একটি বন্দরে নিয়ে যাচ্ছে দখলদার বাহিনী। (সূত্র: আলজাজিরা)
ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, নৌবহর থেকে আটক হওয়া গাজা-সংক্রান্ত স্বেচ্ছাসেবীরা নিরাপদ ও সুস্থ আছেন। নৌবাহিনীর কমান্ডোরা সমুদ্রে আটক করার পর বড় কোনো ঘটনা ঘটেনি। আশা করা হচ্ছে, আটক ব্যক্তিরা প্রায় দুই ঘণ্টার মধ্যে আশোদ বন্দরে পৌঁছাবেন। এরপর তাদেরকে ইসরায়েল থেকে ইউরোপে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু হবে।
যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজার ওপর ভয়াবহ অবরোধ ভাঙার চেষ্টা হিসেবে গঠিত এই বহরের ৪৪টি নৌযানের মধ্যে অন্তত ২১টি গতরাত থেকে ইসরায়েলি বাহিনী আটকে দেয়। এই ঘটনাকে ঘিরে বিশ্বজুড়ে তীব্র নিন্দার ঝড় উঠলেও ইসরায়েল তাতে কর্ণপাত করছে না।
ঘটনার আগে জাতিসংঘের বিশেষ দূত ফ্রান্সেসকা আলবানিজে এবং কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট গুস্তাভো পেত্রো ফ্লোটিলাটিকে বাধাহীনভাবে গাজার উদ্দেশে যেতে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন।
আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলোর মতে, ফ্লোটিলার সরবরাহকৃত সহায়তা মানবিক আইনের আওতায় বৈধ। কিন্তু ইসরায়েল দাবি করছে, স্বেচ্ছাসেবীরা ‘আইনসম্মত নৌ অবরোধ ভাঙার চেষ্টা’ করছে। যদিও আন্তর্জাতিক আইনের বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মানবিক সহায়তা পৌঁছানোর অনুমতি আন্তর্জাতিক আইনে সুরক্ষিত।
গাজায় দীর্ঘদিনের ইসরায়েলি অবরোধ ও সামরিক হামলায় হাজারো মানুষের মৃত্যু ঘটায়, সংহতি ও মানবিক সহায়তার অংশ হিসেবে এই নৌবহর রওনা হয়েছিল।
আটক হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন — স্পেনের ৩০ জন, ইতালির ২২ জন, তুরকির ২১ জন এবং মালয়েশিয়ার ১২ জন। অংশগ্রহণকারীরা জানাচ্ছেন, গ্রেপ্তার অভিযান চললেও ফ্লোটিলার মিশন থেমে নেই; এখনো বেশ কিছু নৌযান ইসরায়েলি বাধা উপেক্ষা করে গাজার উপকূলে পৌঁছানোর চেষ্টা করছে।
মন্তব্য করুন
