

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


পশ্চিম ও দক্ষিণ এশিয়ার দুই পারমাণবিক সামরিক শক্তির মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা তীব্র হচ্ছে। ভারতের 'অগ্নি-প্রাইম' ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের পর পালটা হিসেবে পাকিস্তান সম্প্রতি নিজ ভূখন্ড থেকে লঞ্চযোগ্য ভয়ঙ্কর ‘ফাতাহ-৪’ নামের ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র পাঠিয়েছে—যা অঞ্চলটিতে নিরাপত্তার পরিস্থিতি আরও উত্তেজিত করেছে। পাকিস্তানের এই ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার পর থেকে ভারতীয় মহলে আতঙ্ক বিরাজ করছে। তারা এর চেয়ে আরও শক্তিশালী ক্ষেপনাস্ত্র তৈরির কাজ শুরুর ঘোষণা দিয়েছে।
পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর জনসংযোগ অধিদফতর (আইএসপিআর) জানিয়েছে, ফাতাহ-৪-এর সফল প্রশিক্ষণ উৎক্ষেপণ সম্পন্ন হয়েছে। প্রাথমিকভাবে বলা হচ্ছে এটি প্রায় ৭৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত নির্দিষ্ট লক্ষ্যভিত্তিক আঘাত হানতে সক্ষম।
প্রযুক্তিগত বৈশিষ্ট্য
আইএসপিআর জানায়, ক্ষেপণাস্ত্রটিতে উন্নত নেভিগেশন সিস্টেম রয়েছে—যা লক্ষ্য নির্ধারণে ত্রুটিমুক্ত হতে এবং প্রতিপক্ষের র্যাডার ও প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে প্রতিহত করতে সহায়তা করবে। আনুষ্ঠানিকভাবে এটি আর্মি রকেট ফোর্সের কম্যান্ডে যোগ করা হবে এবং দেশীয় প্রতিরক্ষা শিল্পের অগ্রগতি হিসেবে উদাহৃত হচ্ছে।
নেতৃত্ব ও কৌশলগত প্রভাব
বিশ্লেষকদের অভিমত অনুযায়ী, ফাতাহ-৪-এর কার্যকর উপস্থিতি স্বাধীনভাবে নয়—বরং ভারতের সামনে একটি কৌশলগত চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে। ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রের এই ধরণ কেবল সীমান্ত প্রহরাতেই সীমাবদ্ধ নয়; এটি প্রতিরক্ষা ও আক্রমণ পরিকল্পনাও পুনর্বিন্যস্ত করার তাগিদ দিতে পারে—বিশেষত যারা কৌশলগত ভারসাম্য বজায় রাখতে চান তাদের জন্য।
আঞ্চলিক পরিস্থিতি
দুই দেশের পাল্টাপাল্টি ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা দক্ষিণ এশিয়ার নিরাপত্তা মানচিত্রে নাড়াচাড়া তুলেছে। সামরিক পর্যবেক্ষকেরা মনে করেন, এ ধরনের সমান্তরাল আধুনিকায়ন চলতে থাকলে সীমান্তে উত্তেজনা সময়ে সময়ে বাড়তেই পারে।
 সর্বশেষ খবর পেতে  Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
    
    
    সর্বশেষ খবর পেতে  Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
    
মন্তব্য করুন
 
 
                    