

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও তার প্রয়াত মাকে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্যকে কেন্দ্র করে বিহার ও পশ্চিমবঙ্গে সহিংস পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। শুক্রবার দুই রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে কংগ্রেস কার্যালয়ে ভাঙচুর চালানোর অভিযোগ উঠেছে বিজেপি কর্মীদের বিরুদ্ধে। এর ফলে দেশজুড়ে কংগ্রেস ও বিজেপি সমর্থকদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা যায়, দুই দলের নেতাকর্মী দলীয় পতাকার দণ্ড দিয়ে একে অপরকে আঘাত করছেন। এতে উভয় পক্ষের বহু জন আহত হয়েছেন।
ঘটনার সূত্রপাত হয় বিহারের দরভাঙ্গায় ‘ভোটের অধিকারের যাত্রা’ চলাকালে। এসময় কংগ্রেসের পতাকা গায়ে জড়ানো এক ব্যক্তি প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ করে অশোভন মন্তব্য করেন। ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার পর বিজেপি থানায় অভিযোগ করে এবং কংগ্রেসের কাছে ক্ষমা দাবি জানায়। পরে পুলিশ জানায়, অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং মামলা আদালতে পাঠানো হয়েছে।
তবে তাতেই পরিস্থিতি শান্ত হয়নি। পাটনায় রাস্তায় নেমে বিজেপি কর্মীরা বিক্ষোভ করলে পাল্টা অবস্থান নেয় কংগ্রেস। দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হলে পুলিশকে হস্তক্ষেপ করতে হয়। যদিও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে, তারপরও পুরো শহরজুড়ে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
বিহারের ঘটনাপ্রবাহ ছড়িয়ে পড়ে কলকাতাতেও। শুক্রবার বিকেলে শহরের বিধান ভবনের সামনে বিক্ষোভে নামে বিজেপি। অভিযোগ উঠেছে, তারা কংগ্রেস কার্যালয়ে ঢুকে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। এসময় রাহুল গান্ধীর ছবি ও ব্যানার ছিঁড়ে ফেলা হয়। রাজ্য কংগ্রেস এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ করেছে।
পশ্চিমবঙ্গ কংগ্রেসের মুখপাত্র সৌম্য আইচ রায় বলেন, “রাজনৈতিক দেউলিয়াত্বের প্রকাশ ছাড়া এমন কাজ সম্ভব নয়। বিজেপি দেশের ভেতরে নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকতেই কংগ্রেসের ওপর আক্রমণ চালাচ্ছে।”
অন্যদিকে বিহার কংগ্রেস নেতা অশুতোষ অভিযোগ করেন, “ঘটনার পেছনে সরকারের প্রত্যক্ষ মদত রয়েছে।”
প্রতিক্রিয়ায় বিজেপি নেতা নীতিন নবীন হুঁশিয়ারি দেন যে, “প্রধানমন্ত্রীর মায়ের অপমানের জবাব বাংলার প্রতিটি ছেলে কংগ্রেসকে দেবে।”
এ প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেন, “প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে অশালীন মন্তব্য কেবল লজ্জাজনকই নয়, এটি গণতন্ত্রের ওপর আঘাত।”
বিজেপি সভাপতি জে পি নাড্ডাও রাহুল গান্ধী ও তেজস্বী যাদবের কাছে ক্ষমা চাওয়ার দাবি জানান।
বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারও মন্তব্য করেন, “প্রধানমন্ত্রী ও তার প্রয়াত মাকে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য অগ্রহণযোগ্য। আমি এ ঘটনার নিন্দা করছি।”
মন্তব্য করুন