

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা (এনএসএ) অজিত দোভাল বলেছেন, একটি রাষ্ট্রের দুর্বল প্রশাসনিক কাঠামো প্রায়ই সরকার পরিবর্তনের কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
বাংলাদেশ, নেপাল ও শ্রীলঙ্কাসহ দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন দেশে অনানুষ্ঠানিক উপায়ে ক্ষমতা পরিবর্তনের পেছনে দুর্বল শাসনব্যবস্থার ভূমিকা ছিল বলে মন্তব্য করেন তিনি।
শনিবার (১ নভেম্বর) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি-এর এক প্রতিবেদনে এই তথ্য উঠে আসে।
রাষ্ট্রীয় ঐক্য দিবস উপলক্ষে শুক্রবার দেওয়া বক্তব্যে দোভাল বলেন, শাসনব্যবস্থা একটি রাষ্ট্রের মূল চালিকাশক্তি। এটি জনগণের আস্থা অর্জন ও অংশগ্রহণ নিশ্চিত করে- যা একটি শক্তিশালী জাতি গঠনের পূর্বশর্ত।”
তার মতে, একটি দেশের প্রশাসন যখন দুর্বল হয়ে পড়ে, তখন তা রাষ্ট্রীয় স্থিতিশীলতাকে নড়বড়ে করে দেয় এবং শেষ পর্যন্ত সরকার পরিবর্তনের পথ তৈরি করে।
দোভাল বলেন, আজকের যুগে প্রশাসনের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো জনগণের সন্তুষ্টি নিশ্চিত করা। এখন মানুষ আগের তুলনায় অনেক বেশি সচেতন ও প্রত্যাশী। তাদের চাওয়া পূরণে ব্যর্থতা রাষ্ট্রের প্রতি আস্থা কমিয়ে দেয়।
তিনি আরও বলেন, “জাতির আসল শক্তি নিহিত থাকে কার্যকর শাসনে। সরকারের প্রতিটি প্রতিষ্ঠান যখন দায়িত্বশীলভাবে কাজ করে, তখনই রাষ্ট্র তার লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারে। প্রতিষ্ঠানগুলোকে লালন ও পরিচালনাকারী ব্যক্তিরাই মূলত জাতি গঠনের কারিগর।”
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রশাসনিক মডেলের প্রশংসা করে অজিত দোভাল বলেন, ভারত এখন নতুন এক যুগে প্রবেশ করছে প্রশাসনিক সংস্কার, সামাজিক কাঠামো ও বৈশ্বিক অবস্থানের দিক থেকে। বর্তমান সরকার যে প্রাতিষ্ঠানিক পরিবর্তনগুলো এনেছে, তা দুর্নীতি দমন ও সুশাসন প্রতিষ্ঠায় দীর্ঘমেয়াদে প্রভাব ফেলবে।
তিনি আরও যোগ করেন, যখন পরিবর্তনের ঢেউ আসে, তখন সবচেয়ে জরুরি বিষয় হলো লক্ষ্য স্পষ্ট রাখা। পরিস্থিতি যাই হোক না কেন, ভয় বা বিভ্রান্তিতে দিক হারানো যাবে না।
ভালো শাসনের উপাদান হিসেবে তিনি নারীর সুরক্ষা, সমতা ও ক্ষমতায়নকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে উল্লেখ করেন।
দোভালের ভাষায়, শুধু আইন করলেই হবে না, সেগুলো বাস্তবায়ন নিশ্চিত করাই আসল চ্যালেঞ্জ।
এছাড়া তিনি প্রযুক্তির কার্যকর ব্যবহার ও সাইবার নিরাপত্তা নিয়েও গুরুত্বারোপ করেন। বলেন, প্রযুক্তি এমনভাবে ব্যবহার করতে হবে, যাতে প্রশাসনে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা বাড়ে। তবে এর পাশাপাশি প্রযুক্তিনির্ভর হুমকি থেকেও সমাজকে সুরক্ষিত রাখতে হবে।
মন্তব্য করুন
