

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


আসামে কংগ্রেসের এক সভায় বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত ‘আমার সোনার বাংলা’ গাওয়া নিয়ে তীব্র রাজনৈতিক বিতর্ক শুরু হয়েছে। ঘটনাটি সামনে আসার পর রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা ক্ষোভ প্রকাশ করে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা করার নির্দেশ দিয়েছেন।
বুধবার (২৯ অক্টোবর) বিষয়টি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “এটি ভারতের জাতীয় ভাবমূর্তির প্রতি গভীর অবমাননা। ওই গানটি বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত, সেটি কোনো রাজনৈতিক সভায় গাওয়া একেবারেই অগ্রহণযোগ্য।”
টাইমস অব ইন্ডিয়ার খবরে বলা হয়েছে, সোমবার (২৭ অক্টোবর) শ্রীভূমি জেলায় কংগ্রেসের এক অনুষ্ঠানে দলের জ্যেষ্ঠ নেতা বিদ্যু ভূষণ দাস সভার শেষে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা গান “আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি” পরিবেশন করেন।
এই গানটি ১৯০৫ সালে বঙ্গভঙ্গ-বিরোধী স্বদেশি আন্দোলনের সময় লেখা হয়েছিল, যা পরবর্তীতে ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত হিসেবে গ্রহণ করা হয়।
মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা এই ঘটনাকে ‘গ্রেটার বাংলাদেশ’ তত্ত্বের সঙ্গে যুক্ত করে বলেন, “এটি পাকিস্তান-সমর্থিত এক আদর্শিক ষড়যন্ত্রের অংশ।” তিনি আরও উল্লেখ করেন, সম্প্রতি ঢাকায় এক অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মোহাম্মদ ইউনূস পাকিস্তানের এক সামরিক কর্মকর্তাকে যে বই উপহার দিয়েছিলেন, তার প্রচ্ছদে এমন একটি মানচিত্র ছিল যেখানে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের কিছু অংশকে অন্তর্ভুক্ত দেখানো হয়েছে।
অন্যদিকে, লোকসভার কংগ্রেসের উপনেতা গৌরব গগৈ বলেন, “গানটি বাংলাদেশের স্বাধীনতার আগেই লেখা হয়েছিল; এটি বাঙালির সাংস্কৃতিক ঐক্যের প্রতীক। বিজেপি রবীন্দ্রনাথের উত্তরাধিকার বোঝে না, অথচ এখন তা নিয়ে রাজনীতি করছে।”
গগৈ আরও অভিযোগ করেন, বিজেপি একদিকে বাঙালি সংস্কৃতি ও ভাষাকে অবমূল্যায়ন করে, আবার নির্বাচনের সময় বাঙালি ভাষাভাষী জনগোষ্ঠীর ভোটের জন্য তাদের আবেগকে ব্যবহার করে।
 সর্বশেষ খবর পেতে  Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
    
    
    সর্বশেষ খবর পেতে  Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
    
মন্তব্য করুন
 
 
                    