

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


বাংলাদেশি নাগরিক সন্দেহে ভারত থেকে জোরপূর্বক বাংলাদেশে পাঠানো ছয় ভারতীয় নাগরিককে অবিলম্বে ফিরিয়ে আনার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট।
শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী ও বিচারপতি ঋতব্রতকুমার মিত্রের ডিভিশন বেঞ্চ এ নির্দেশ দেন।
এতে বলা হয়েছে, বীরভূম জেলার দুই পরিবারের এই ছয় সদস্যকে আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে দেশে ফিরিয়ে আনতে হবে। ভুক্তভোগীদের মধ্যে অন্তঃসত্ত্বা নারী সোনালী বিবিও রয়েছেন।
পরিবারের অভিযোগ, সোনালী ও তার স্বজনরা দীর্ঘ প্রায় দুই দশক ধরে দিল্লির রোহিণীতে কাগজ কুড়োনো ও গৃহপরিচারিকার কাজ করতেন। গত জুনে দিল্লি পুলিশ তাদের বাংলাদেশি সন্দেহে আটক করে এবং পরে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেয়। এ নিয়ে দায়ের করা হেবিয়াস কর্পাস মামলার শুনানি শেষে কলকাতা হাইকোর্ট এ নির্দেশ দেয়। এর আগে গত ২৯ আগস্ট ভারতের সুপ্রিম কোর্ট মামলাটি কলকাতা হাইকোর্টে স্থানান্তরের নির্দেশ দিয়েছিল।
শুক্রবারের শুনানিতে কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে রায় স্থগিত রাখার আবেদন জানানো হলেও আদালত তা নাকচ করে দেয়। বেঞ্চ স্পষ্ট করে জানায়, সোনালী ও তার পরিবারের ভারতীয় নাগরিকত্ব প্রমাণিত এবং তাদের দেশে ফিরিয়ে আনার দায়িত্ব সরকারের।
কেন্দ্রের অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল অশোক চক্রবর্তী শুনানিতে যুক্তি দেন যে, ঘটনাটি দিল্লিতে ঘটেছে, তাই কলকাতা হাইকোর্টের এখতিয়ার নেই। তিনি আরও অভিযোগ করেন, নাগরিকত্ব সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য গোপন রাখা হয়েছে।
এদিকে দিল্লি পুলিশের আইনজীবী দাবি করেন, সোনালির পরিবার এখনও হলফনামায় প্রমাণ করতে পারেনি যে তারা বাংলাদেশি নন।
বিচারপতি চক্রবর্তী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “আটকের নির্দেশে লেখা আছে, তাদের বাঙালি বস্তি থেকে আনা হয়েছে। শুধু তাই বলে কি বাংলাদেশি বলে চিহ্নিত করবেন?” আদালত পর্যবেক্ষণ করে জানায়, আইন অনুযায়ী অন্তত ৩০ দিন আটক রেখে তদন্ত করার কথা থাকলেও সোনালীকে মাত্র দুদিনের মধ্যেই বাংলাদেশে পাঠানো হয়েছে। আদালতের প্রশ্ন ছিল, “মাত্র দু’দিনে কীভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো যে তারা বাংলাদেশি? এত তাড়াহুড়ো কেন?”
বেঞ্চ মামলাকারীর আইনজীবীরা এসময় বলেন, যেহেতু দেশ থেকে বহিষ্কারের আদেশকে চ্যালেঞ্জ করা হয়নি, তাহলে কোন ভিত্তিতে আদালত নির্দেশ দেবে, তা স্পষ্ট করতে হবে।
মন্তব্য করুন

