

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


উত্তর প্রদেশের মেইনপুরী জেলায় ইনস্টাগ্রামে গড়ে ওঠা প্রেমের সম্পর্কের পরিণতি ঘটল খুনের মধ্য দিয়ে। পুলিশ জানায়, নিহত নারী ফররুখাবাদ জেলার বাসিন্দা, বয়স ৫২ বছর, এবং তিনি চার সন্তানের মা।
তাঁর সঙ্গে ২৬ বছর বয়সী যুবক অরুণ রাজপুতের পরিচয় হয়েছিল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ইনস্টাগ্রামে। এক বছরেরও বেশি সময় ধরে তাদের মধ্যে যোগাযোগ ছিল; প্রথমে বন্ধুত্ব, পরে সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ হয়। দুই মাস আগে ফোন নম্বর বিনিময় করে তারা নিয়মিত কথা বলতে ও দেখা করতে শুরু করেন।
ঘটনার দিন, ১১ আগস্ট, ওই নারী ফররুখাবাদ থেকে মেইনপুরীতে রাজপুতের সঙ্গে দেখা করতে যান। পরদিন করপারি গ্রামের কাছে তাঁর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
গলায় আঘাতের চিহ্ন দেখে প্রথমে হত্যার সন্দেহ হয়, পরে ময়নাতদন্তে নিশ্চিত করা হয় যে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। নিখোঁজ ডায়েরির তথ্য মিলিয়ে পরে নারীর পরিচয় শনাক্ত করা হয়।
পুলিশ অরুণ রাজপুতকে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি অপরাধ স্বীকার করেন। তিনি জানান, ওই নারী তাঁকে বিয়ের জন্য চাপ দিচ্ছিলেন, একইসঙ্গে প্রায় দেড় লাখ টাকা ধার দেওয়া হয়েছিল, যা ফেরত চাইছিলেন। এতে বিরক্ত হয়ে তিনি নারীর গলায় দুপাট্টা পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করেন।
তদন্তে আরও জানা যায়, ইনস্টাগ্রামে ওই নারী ফিল্টার ব্যবহার করে নিজেকে অনেক কম বয়সী হিসেবে উপস্থাপন করতেন। কিন্তু সামনাসামনি দেখা হওয়ার পর তাঁর প্রকৃত বয়স জানতে পেরে রাজপুত বিয়ে করতে অনীহা প্রকাশ করেন। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে নারীর মোবাইলসহ অন্যান্য আলামত জব্দ করেছে এবং অভিযুক্তের ফোন থেকে তাদের কথোপকথনের বার্তাও উদ্ধার করেছে।
পুলিশ সুপার অরুণ কুমার সিং জানিয়েছেন, অভিযুক্ত হত্যার পর ভুক্তভোগীর মোবাইল থেকে সিম কার্ড খুলে ফেলেছিলেন, যাতে যোগাযোগের তথ্য না পাওয়া যায়। তবে পুলিশ ফোনটি উদ্ধার করে বার্তা যাচাই করেছে। রাজপুতকে নারী হত্যার অভিযোগে গ্রেফতার করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
মন্তব্য করুন
